[ad_1]
ইসরায়েল জানিয়েছে, সিরিয়ার দখলকৃত এলাকায় নতুন বাহিনী মোতায়েন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেনারা সেখানেই থাকবে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন শীতকালজুড়ে গোলান মালভূমির জাতিসংঘ-পর্যবেক্ষণাধীন বাফার জোনে অবস্থান বজায় রাখার প্রস্তুতি নেয়। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
রবিবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর বিদ্রোহীরা অঞ্চলটি দখল করলে ইসরায়েল দ্রুতই কৌশলগত এই অঞ্চলটি দখল করে। এরপর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সিরিয়ার সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে শত শত বিমান ও নৌ-আক্রমণ চালিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যাতে সেগুলো বিদ্রোহীদের হাতে না পড়ে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গোলান মালভূমির বাফার জোনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। এদিকে, তারা এখনও দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে, যেখানে মাসের পর মাস হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি মিলিশিয়াদের সঙ্গেও সংঘাত চলছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজের মুখপাত্র শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানান, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের জন্য মাউন্ট হারমনের শীর্ষে উপস্থিতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনাদের জন্য প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও প্রস্তুতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
মাউন্ট হারমন সিরিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। দীর্ঘদিন ধরে এর শীর্ষে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ পোস্ট রয়েছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের এই দখল প্রতিরক্ষার জন্য জরুরি ছিল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, আসাদের শাসন ভেঙে পড়ার পর ইসরায়েলের সীমান্ত এবং বাফার জোনে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই মোতায়েন অস্থায়ী, যতক্ষণ না ১৯৭৪ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তি অনুযায়ী একটি বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
ইসরায়েলের এই দখল নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, মহাসচিব সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার সাম্প্রতিক এবং ব্যাপক লঙ্ঘন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাফার জোনে ইসরায়েলের দখল ১৯৭৪ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। গুতেরেস উভয় পক্ষকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই আগ্রাসনকে ‘অস্থায়ী’ রাখার পক্ষে মত দিয়েছে।
আঞ্চলিক ভূরাজনীতি বিশেষজ্ঞ মাইকেল হোরোভিটজ বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী কয়েক মাস ধরে বাফার জোনে নজরদারি মিশন চালাতে পারে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অভিযান কত দিন স্থায়ী হবে তা নির্ভর করবে নতুন সিরীয় সরকারের স্থিতিশীলতা এবং তাদের উদ্দেশ্যের ওপর। মাউন্ট হারমনের কৌশলগত গুরুত্ব বিবেচনায় ইসরায়েল হয়তো দীর্ঘমেয়াদেও সিরিয়ার পাশে অবস্থান ধরে রাখতে প্রলুব্ধ হতে পারে।
[ad_2]
Source link