অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ, সেপ্টেম্বর মাসে যা ছিল ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার প্রকাশিত উৎপাদক মূল্য সূচক অক্টোবর মাসেও উচ্চ হারে বেড়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে উৎপাদন পর্যায়ে পণ্যের খরচ বাড়ছে; ভবিষ্যতে ভোক্তা পর্যায়েও তার প্রভাব পড়তে পারে।
তবে বর্তমানে অর্থনীতিবিদ ও ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল মনে করছেন, মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে, যদিও মাঝে মাঝে কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে।
পাওয়েল বলেছেন, ‘শ্রমবাজারের অবস্থা মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণ; মূল্যস্ফীতি বিষয়ক প্রত্যাশাও স্থিতিশীল। আশা করি, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে আসবে, যদিও সেই যাত্রা একেবারে মসৃণ না–ও হতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন হয়ে গড়েছে। ক্ষমতায় আসছেন ডেনাল্ড ট্রাম্প। মূল্যস্ফীতি নিয়েও এখন আর তেমন আলোচনা নেই। যদি আরও উচ্চ মূল্যস্ফীতির খবর আসে, ফেডের সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার প্রভাব পড়তে পারে। একই সময়ে কর্মকর্তারা মার্কিন শ্রমবাজারের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। কর্মসংস্থানের গতি কমে যাওয়া এবং বেকারত্ব সামান্য বৃদ্ধির কারণে সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তখন বলা হয়, ধাপে ধাপে তা আরও কমানো হবে।