Homeদেশের গণমাধ্যমেসেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অদ্ভূত শর্ত ব্রিটিশ জেন-জিদের

সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অদ্ভূত শর্ত ব্রিটিশ জেন-জিদের

[ad_1]

মধ্যযুগ থেকে এখন পর্যন্ত যেসব সেনাবাহিনী পৃথিবীর বুকে সেরাদের তালিকায় নিজেদের নাম টিকিয়ে রাখতে পেরেছে তাদের মধ্যে অন্যতম ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। প্রবাদ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্য অস্ত যায় না। মূলত এই সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি এতটাই ব্যাপক ছিল যে, কোনো না কোনো প্রান্তে দিনের আলো দেখাই যেত।

আর এসব সম্ভব হয়েছিল ব্রিটিশদের সেরা সামরিক শক্তির কারণে। এক সময় খ্যাতি ও দেশ প্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণরা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতেন। কিন্তু যুগের সঙ্গে সঙ্গে সেই মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে অনেকের। এখন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অদ্ভূত সব শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন ব্রিটিশ জেন-জিরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ব্রিটিশ জেন-জিদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার অদ্ভূত সব শর্তের কথা। বলা হচ্ছে উন্নত অস্ত্র বা নিরাপদ প্রশিক্ষণ নয় বরং সেনাবাহিনীতে থাকতে তাদের প্রয়োজন ভালো ওয়াইফাই ও উন্নত টয়লেট। শুধু তাই নয় সুবিধার মধ্যে তারা ডাবল বেড ও মানসম্মত রান্নাঘরের দাবিও জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর আবাসন সংক্রান্ত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে আসে।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনী বলছে, ২৭ বছরের কম বয়সী সেনারা তাদের চাহিদার শীর্ষে রেখেছেন এসব দাবিগুলোকে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জরিপে বলা হয়, জেন-জি সেনারা মোট ১৯টি দাবি জানিয়েছেন। সাধারণত যেসব সেনারা নতুন তৈরি করা ব্যারাকে থাকেন তাদের নিজেদের কামরা ও অন্যান্য আধুনিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে পুরাতন ঘাঁটিগুলোতে অনেক সেনাই কামরা ভাগ করে নেন। এসবের পাশাপাশি তারা গোসলখানা ও টয়লেটও ভাগ করে ব্যবহার করেন।

এতে আরও বলা হয়, আবাসন ও খাবার নিয়ে উদ্বেগের কারণে ৪০ শতাংশ সৈন্য তাদের পেশা পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করছেন। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে ১৫ হাজার ৭১০ সেনা সশস্ত্র বাহিনী ত্যাগ করেছিলেন খাবার ও আবাসনসংক্রান্ত অভিযোগ তুলে। এ ছাড়া ৬ হাজারের বেশি সেনার খাবার ও আবাসন নিয়ে অভিযোগ ছিল।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর জরিপে আরও দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ সৈন্য মনে করেন, তারা যে ধরনের জায়গায় থাকেন, তার মানের তুলনায় তারা বেশি অর্থ প্রদান করছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত দুই বছরে ২০ হাজারের বেশি সেনা আবাসনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন। চলতি বছরের শুরুতে প্রকাশিত একটি পৃথক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে পরিষেবার বাসস্থান স্যাঁতসেঁতে, ছাঁচ, গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক ত্রুটি এবং কীটপতঙ্গের উপদ্রবসহ ক্রমাগত সমস্যা দ্বারা জর্জরিত ছিল।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত