[ad_1]
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৪র্থ দিনের খেলা,
দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫ ওভারে ৫৭/২ (ব্র্যাথওয়েট ৩৫*, হজ ০*, কার্টি ১৪, লুইস ৬)
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৯.৫ ওভারে ২৬২/৯ (নাহিদ ১*, জাকের ৯১, তাসকিন ০, হাসান ৩, মুমিনুল ০, তাইজুল ১৪, লিটন ২৫, মিরাজ ৪২, সাদমান ৪৬, দিপু ২৮, জয় ০)
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬৪.৬ ওভারে ১৪৬/১০ (সিলস ৮*, রোচ ৮, শামার ৫, আলজারি ৭, কার্টি ৪০, ডা সিলভা ৫, গ্রিভস ২, আথানেজ ২, হজ ৩, ব্র্যাথওয়েট ৩৯, লুইস ১২)
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৭১.৫ ওভারে ১৬৪/১০ (নাহিদ ০*, হাসান ৫, মিরাজ ৩৬, তাসকিন ৮, তাইজুল ১৬, সাদমান ৬৪, জাকের ১, লিটন ১, দিপু ২২, জয় ৩, মুমিনুল ০)
লাঞ্চের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিরোধ ভাঙলেন তাসকিন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষ হয়। কেইগ ব্র্যাথওয়েটকে নিয়ে কিসি কার্টি প্রতিরোধ গড়েছিলেন। অস্বস্তিকর হয়ে ওঠা এই জুটিকে ৩৪ এর বেশি রান করতে দিলেন না তাসকিন আহমেদ। টানা দ্বিতীয় ইনিংসে কার্টিকে ফেরালেন তিনি এবং চার ইনিংসে তৃতীয়বার। ১৪ রান করে লিটন দাসের ক্যাচ হন উইন্ডিজ ব্যাটার। ৫৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি ভেঙে লাঞ্চে বাংলাদেশ
প্রথম সেশনে আবারও রাজত্ব করলো বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন লাঞ্চের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর ২৩ রানে ওপেনিং জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। মিকাইল লুইসকে ৬ রানে শাহাদাত হোসেন দিপুর ক্যাচ বানান বাংলাদেশের স্পিনার। উইন্ডিজ ওপেনারের বিদায়ে লাঞ্চের ঘোষণা আসে।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাংলাদেশ লুইসের বিরুদ্ধে ক্যাচের আপিল করে। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা টিভি রিপ্লে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ বল ব্যাটে লেগে মাটিতে লাগার একটা সম্ভাবনা ছিল। রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল লুইসের ব্যাটের ইনার হাফে লেগে বুটে আঘাত করে উঁচুতে ওঠে। শর্ট লেগ থেকে লাফিয়ে ব্যাটারের সামনে বল লুফে নেন দিপু।
জাকের ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশের ২৮৭ রানের লক্ষ্য
জাকের আলী একপ্রান্ত থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করলেও বাংলাদেশ হারায় ৯ উইকেট। শেষ জুটিতে সেঞ্চুরির জন্য লড়ছিলেন তিনি। কিন্তু পারলেন না। ৯১ রানে থামলেন জাকের। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৮ রানে অল আউট বাংলাদেশ। লিড ২৮৬ রানের।
১৯৬ রান নিয়ে ৫ উইকেট হাতে রেখে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। জাকেরের ব্যাটে আগুন ঝরলো। যদিও অন্য প্রান্ত থেকে সহায়তা পাননি।
১০৬ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো ছিল জাকেরের ইনিংস। আলজারি জোসেফের বলে আলিক আথানেজের ক্যাচ হন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে। সাবিনা পার্কে সর্বোচ্চ ২১২ রান করে সফল হওয়ার রেকর্ড।
স্বাগতিকদের পক্ষে রোচ ও আলজারি জোসেফ তিনটি করে উইকেট নেন।
রোচের আঘাত
১২ বলে ৩ রান করে কেমার রোচের বলে কাভেম হজের ক্যাচ হন হাসান। ২৪৩ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে।
রোচ এরপর ফেরান তাসকিন আহমেদকে। ৬ বলে শূন্যতে বোল্ড হন তিনি। ২৪৬ রানে নবম উইকেট নেই।
জাকেরের ফিফটি
আলজারি জোসেফের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে ফিফটি করলেন জাকের আলী। ৮০ বলে টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তার। পরের দুই বলে ৪, ৬ মেরে ওই ওভারে ১৮ রান তুললেন জাকের, ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেললেন আগের ৫৮ রান ছাপিয়ে।
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ৫৮ রান করেন জাকের। উইন্ডিজ সফরের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে করেন ৫৩ রান।
আবার ডাক মারলেন মুমিনুল
জ্যামাইকা টেস্টে দুই ইনিংসেই ডাক মারলেন মুমিনুল হক। চতুর্থ দিন আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল খেলে কেমার রোচের শিকার হন তিনি। শূন্য হাতে বিদায় নেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
প্রথম ইনিংসে টেস্টে ১৭তম ডাক মেরে মোহাম্মদ আশরাফলকে লজ্জার রেকর্ড থেকে রেহাই দেন মুমিনুল। এবার নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙলেন তিনি।
আলজারির এক্সট্রা বাউন্সে ক্যাচ হলেন তাইজুল
জাকের আলী ও তাইজুল ইসলামের জুটি নতুন দিনে আর ১১ রান যোগ করতে পেরেছে। আলজারি জোসেফের একস্ট্রা বাউন্সে প্রথম স্লিপে কাভেম হজের ক্যাচ হন তাইজুল। ৫০ বলে ১৪ রান করে বাংলাদেশি ব্যাটার। জাকেরের সঙ্গে তার জুটি ৯৫ বলে ৩৪ রানের। ২০৭ রানে বাংলাদেশ হারালো ছয় উইকেট। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন মুমিনুল হক।
লিড আরও বড় করার লক্ষ্যে মাঠে বাংলাদেশ
২১১ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিন জ্যামাইকার কিংসটনে নেমেছে বাংলাদেশ। জাকের আলী ও তাইজুল ইসলামের জুটিতে মঙ্গলবার তৃতীয় ওভারে তাদের স্কোরও দুইশ ছাড়ালো। ৫ উইকেটে ১৯৬ রানে দিনের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। শঙ্কা কাটিয়ে মুমিনুল হক ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায়।
আগের দিন নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড নেয়।
বাংলাদেশের লিড ২১১ রানের
জ্যামাইকা টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ইনিংসেই বোলারদের দাপট দেখানো পিচে চলছে ব্যাটারদের আধিপত্য। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৯৩ রান করেছে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে তাদের লিড ২১১ রানের।
ইতোমধ্যেই জেতার মতো রান করে ফেলেছে বাংলাদেশ! পরিসংখ্যান বলছে সেই কথা। কারণ জ্যামাইকার এই পিচে সর্বোচ্চ ২১২ রান তাড়া করে সফল হওয়ার রেকর্ড আছে। মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে।
১৪ উইকেট পড়ার দিনে দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় সেশনের ২০ মিনিটের মধ্যে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ উইকেট তুলে নেন, পাঁচ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন নাহিদ রানা। প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানের জবাবে বাংলাদেশের কাছে ১৪৬ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৮ রানের লিড পায় সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই মাহমুদুল হাসান জয় ডাক মারেন। তারপর সাদমান ইসলামের সঙ্গে শাহাদাত হোসেন দিপু ৪৭ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৭০ রানের জুটি গড়েন। শেষ সেশনে লিটন দাসের সঙ্গে জাকের আলীর ৪১ রানের জুটিতে শক্ত অবস্থান নেয় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন সাদমান। ৪২ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে।
[ad_2]
Source link