বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান হাসপাতাল থেকে মাকে নিয়ে ধানমন্ডিতে নিজেদের বাসায় গেছেন। স্কয়ার হাসপাতালে গত ১ মে থেকে ভর্তি ছিলেন তার মা ইকবাল মান্দ বানু।
বুধবার (০৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাকে নিয়ে পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি। এরপর ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রয়াত বাবার বাড়ি মাহবুব ভবনে পৌঁছান তারা।
সূত্র মতে, মাহবুব ভবনে এখন ইকবাল মান্দ বানুর সঙ্গে তার বড় মেয়ে শাহীনা জামান ও তার পরিবার রয়েছে। সেখানে হাসপাতাল থেকে জুবাইদার সঙ্গে সৈয়দা শর্মিলা রহমানও আসেন। এরপর মা ও বড় বোনের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে রাত পৌনে ১০টার দিকে ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হন ডা. জুবাইদা। সঙ্গে রওনা হন শর্মিলাও।
এর আগে বিকেলে বাবার কবর জিয়ারত করেন জুবাইদা। গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজা থেকে পুলিশ স্কট সহকারে একটি গাড়িতে করে বেরিয়ে প্রথমে যান বনানীর সামরিক কবরস্থানে সাবেক নৌ প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবরে। সেখানে নারীদের জন্য নামাজের নির্ধারিত স্থানে আসরের নামাজ আদায় করে বাবার কবর জিয়ারত করেন। সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। এরপর জুবাইদা স্কয়ার হাসপাতালে যান মায়ের কাছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন তার সহধর্মিণীকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। সন্ধ্যার পর চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পেয়ে মাকে নিয়ে ধানমন্ডিতে বাবার বাসায় আসেন জুবাইদা।
এই সময়ে বিএনপির নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম ও তার স্ত্রী মেহনাজ মান্নান, আবদুল লতিফ জনি ও তার স্ত্রী, মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু, মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর মঙ্গলবার (০৬ মে) সকালে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সাথে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে শাশুড়ির সঙ্গে সরাসরি ফিরোজায় যান তিনি। পরে সেখান থেকে অসুস্থ মাকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে যান জুবাইদা। এরপর হাসপাতাল থেকে ‘মাহবুব ভবনে’ যান তিনি। সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করে মঙ্গলবার রাতেই আবার ‘ফিরোজায়’ ফিরে আসেন ডা. জুবাইদা।