[ad_1]
অনেকের ভয়, ট্রাম্প দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থাকে নিজের খেয়ালখুশিমতো ব্যবহার করবেন। যাঁদের তিনি শত্রু বিবেচনা করেন—যে তালিকায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন থেকে সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি রয়েছেন—তাঁদের বিব্রত করতে একের পর এক তদন্তের নির্দেশ দেবেন। তাঁর সমালোচক হিসেবে পরিচিত মিডিয়াও এ তদন্তের বাইরে থাকবে না। তাঁর প্রতি যথেষ্ট অনুগত নয়, এমন হাজারো ফেডারেল কর্মচারীকে তিনি চাকরিচ্যুত করবেন—এমন কথাও জানিয়েছেন।
কিন্তু ট্রাম্প রাজা নন, তিনি একজন প্রেসিডেন্টমাত্র। হতে পারে নিজ দলে তাঁর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করার কেউ নেই, কিন্তু প্রশাসনে ক্ষমতা বিভক্তির কারণে তাঁকে কংগ্রেস ও বিচার বিভাগকে আমলে আনতেই হবে। তিনি যে সর্বশক্তিমান নন, ক্ষমতা গ্রহণের আগেই টের পেয়েছেন। যে ‘অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত’ ব্যক্তিদের তিনি নিজ রাজসভায়, অর্থাৎ ক্যাবিনেটে প্রস্তাব করেছেন, তাঁদের কেউ কেউ সমালোচনার মুখে নিজেরাই সরে দাঁড়িয়েছেন। দু-একজনকে আবার ট্রাম্প নিজে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রে যে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের’ ব্যবস্থা রয়েছে, তা একেবারে অকেজো হয়ে যায়নি।
তবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত থেকে যেসব নীতি অনুসরণের কথা শোনা যাচ্ছে, তা বাস্তবায়িত হলে সত্যি বিপদ হতে পারে। ট্রাম্প–মনোনীত স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র জানিয়েছেন, তিনি বাধ্যতামূলক টিকা বাতিল করতে পারেন, পানিতে ফ্লোরাইড প্রয়োগের যে নিয়ম চালু আছে, তা–ও বাতিল করবেন। এর অর্থ, আমেরিকায় আবার পোলিও ফিরে আসতে পারে, দাঁতেও ফিরবে ক্যাভিটি। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এ দেশে যে কড়াকড়ি রয়েছে, ট্রাম্প সেসব শিথিল করতে চান। বিপদ তাতে বাড়বে বৈকি।
তবে সত্যি আকাশ ভেঙে পড়ার মতো যা হতে পারে, তা হলো জলবায়ু সংকট প্রশ্নে ট্রাম্পের উদাসীনতা। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর মতে, জলবায়ু সংকট মানবসভ্যতার অস্তিত্বের সংকট। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট মনে করেন, পুরো ব্যাপারই গাঁজাখুরি।
[ad_2]
Source link