Homeদেশের গণমাধ্যমে১২ দিনের ‘ঝড়ে’ বাশারের পতন, মস্কোয় আশ্রয়

১২ দিনের ‘ঝড়ে’ বাশারের পতন, মস্কোয় আশ্রয়

[ad_1]

বাশারের মস্কোয় আশ্রয় নেওয়ার খবর সামনে আসার আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করে সিরিয়া ছাড়তে সম্মত হন বাশার। বৈঠকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকনির্দেশনাও দেন তিনি।

বাশারের পতনের পর দেরি করে হলেও মুখ খুলেছে ইরান। গতকাল এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও দেশটির মানুষের একতার প্রতি সম্মান রয়েছে তেহরানের। দেশটিতে দ্রুত সামরিক সংঘাতের অবসান, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমন এবং সমাজের সব পক্ষের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সিরিয়া প্রসঙ্গে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া কিংবা ইরানের হিজবুল্লাহ—কেউই সিরিয়া সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি। বাশারের পতনের পর এখন ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিশ্চয়তার এক মুহূর্ত বিরাজ করছে। সিরিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্লেষকদের কারও কারও মত, বাশারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা এইচটিএসের গোড়া হলো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদা। সংগঠনটির অতীতে উগ্রবাদ রয়েছে। যদিও পরে তারা নিজেদের জাতীয়বাদী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই সংগঠনটি সাম্প্রতিক বার্তায় সমঝোতা-আলোচনার কথা বললেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অবস্থান কেমন হবে, তা নিশ্চিত নয়।

বাশারের পতনের পর যে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলা হচ্ছে, তা কতটা শৃঙ্খলাপূর্ণ হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমার সেন্টার ফর মিডল ইস্ট স্টাডিজের পরিচালক জোশুয়া ল্যান্ডিস। তিনি বলেন, আসল প্রশ্নটা হচ্ছে কতটা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে এই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে? তবে এটা পরিষ্কার যে জোলানি তা শৃঙ্খলার মধ্য দিয়েই করতে চান। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ইরাকে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল, তা তিনি চাইবেন না।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত