[ad_1]
প্রকাশিত: ২২:০৭, ৯ জানুয়ারি ২০২৫
আপডেট: ২২:০৯, ৯ জানুয়ারি ২০২৫

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিং
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানিয়েছেন, মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ৩৬ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের ফলে মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে। আমরা বিজিবি মারফত কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ব্যাপারে জানতে পারি। বড় সমুদ্র সীমানা হওয়ার কারণে অনেক রোহিঙ্গাই বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। আবার অনেক সময় জীবন বাঁচাতে তারা মিয়ানমার থেকে অন্য দেশে নৌপথে রওয়ানা হয়। সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভেসে আসার কিছু রিপোর্টও আমরা পেয়েছি। সীমান্তে আমাদের সব সীমান্তরক্ষী বাহিনী সর্বাত্মক সতর্কতায় আছে। সবকিছুর পাশাপাশি আমাদের মানবিক দিকটাও বিবেচনায় রাখতে হয়।”
মুখপাত্র বলেন, “মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের ফলে আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহ সম্পূর্ণ এলাকা দখল করেছে। এছাড়া আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টি টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে বলে আমরা অবগত আছি। অবশিষ্ট তিনটি টাউনশিপ দখলের লক্ষ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। তাছাড়া চীন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে মিডিয়া মারফত জানা গেছে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সম্পূর্ণ এলাকা আরাকান আর্মি কর্তৃক দখল করায় সীমান্ত পারাপার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।”
ঢাকা/হাসান/এসবি
[ad_2]
Source link