[ad_1]
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘাতের প্রভাবে নয় দিন বন্ধের পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আবারও আসলো মাছের কার্গো বোট। রবিবার ভোরে ১০৮ টন ইলিশ, রুই ও কাতল মাছ নিয়ে একটি কার্গো বোট মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে পৌঁছেছে।
সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে মাছের কার্গোবোট এসেছিল। এরপর রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে মংডু টাউনশিপ দখলে নেয় দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। তখন থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যের অধীনে টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে কোনও পণ্যের বোট আসেনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৯ দিন বন্ধের পর মিয়ানমার থেকে ১০৮ টনের একটি মাছের বোট এসেছে। সেখানে চার জন ব্যবসায়ীর মাছ রয়েছে। বোটে ইলিশ, রুই ও কাতল মাছ রয়েছে। সেগুলো খালাস চলছে।’
এদিকে, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ধারাবাহিক সংঘাতের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিতে। নয় দিন পর মিয়ানমার থেকে মাত্র একটি মাছের ট্রলার এসেছে। তার আগে শুক্রবার মাছ বহনকারী ট্রলার আসার পর আর কোনও পণ্যবাহী যান বন্দরে আসেনি। মিয়ানমারের পরিস্থিতি শান্ত না হলে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গত জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৮ হাজার ৮০০ টন নানা ধরনের পণ্য এসেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসেছিল ৭৮ হাজার ৫২৭ টন পণ্য। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পণ্য এসেছে এক লাখ ৯৯ হাজার ২২৫ টন। এদিকে, বাংলাদেশ থেকে জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে মিয়ানমারে পণ্য গেছে মাত্র ৩১০ কেজি। ২০২৩-২৪ অর্থবছর গেছে এক হাজার ৪০৮ টন। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৫২৩ টন পণ্য।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কাঠ, হিমায়িত মাছ, শুকনো সুপারি, পেঁয়াজ, আদা, শুঁটকি, নারকেল, আচার প্রভৃতি পণ্য আমদানি হয়। আর বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে যায় আলু, প্লাস্টিক পণ্য, সিমেন্ট, তৈরি পোশাক, বিস্কুট, চানাচুর, চিপস ও কোমলপানীয়।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘রাখাইনে চলমান যুদ্ধের কারণে সীমান্ত বাণিজ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রবিবার ভোরে মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে ১০৮ টন মাছ নিয়ে একটি বড় বোট এসেছে। এর মধ্যে আমার ৩০ টন মাছ রয়েছে।’
[ad_2]
Source link