[ad_1]
কাওসারের চাচা ইমরান হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, অপহরণের ওই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী জানার পর তাঁরা মামলা করেননি।
শিশু অপহরণের এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে। প্রতিরোধ করতে পারে না বলে সহজেই অপহরণের শিকার হয় শিশুরা। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, সারা দেশে শিশু অপহরণের ঘটনায় গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে থানায় ৬৯৫টি মামলা হয়েছে। অর্থ আদায়ের জন্য অপহরণ করে জিম্মি করার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০–এর আওতায় এসব মামলা করা হয়। সরাসরি থানায় ও আদালত থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় শিশু অপহরণ ও পণবন্দীর (জিম্মি) মামলায় ৯ মাসে উদ্ধার হয়েছে ৪৯১ শিশু। অর্থাৎ ২৯ শতাংশ শিশু উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার না হওয়া শিশুদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, যে মাসে মামলা হয়, এর পরের মাসগুলোয়ও অনেক শিশু উদ্ধার হয়। যেসব শিশু উদ্ধার হয়নি, সেই মামলাগুলো তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয় যে ওই শিশুদের সঙ্গে কী ঘটেছে বা কেন উদ্ধার হয়নি। তিনি আরও বলেন, শিশুরা প্রতিরোধ করতে পারে না বলে তারা অপরাধীদের সহজ লক্ষ্যে পরিণত হয়। পারিবারিক শত্রুতা, জিম্মি করে পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায়, পাচার ও যৌন নির্যাতনের উদ্দেশ্যে বিক্রি করার জন্য শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটে।
[ad_2]
Source link