[ad_1]
কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে।
আজ (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিষয়ে মতবিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
“দুই পক্ষের অনেক লোক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামায়াতের কুষ্টিয়া শাখার সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জর্দ্দার জানান, বিদ্যালয়ের অ্যাড-হক কমিটির আহ্বায়ক পদে দল তাদের ইউনিয়নের আমির নাসিম রেজা মুকুলকে মনোনীত করেছে।
“তবে বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসির মুকুলকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন,” তিনি অভিযোগ করেন।
এর প্রতিবাদে জামায়াত একটি সমাবেশের আয়োজন করে, সেই সময় বিএনপি কর্মীরা হামলা চালায় এবং তাদের অনেক সদস্য আহত হয়, তিনি আরও বলেন।
আজ বিকেলে বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল গফুরও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে বিএনপি নেতা নাসিরের সমর্থকরা এসে পৌঁছালে তুমুল কথা কাটাকাটি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনায় রূপ নেয়। একপর্যায়ে নাসিরের সমর্থকরা হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত উভয় পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে বলে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাসান ইমাম বলেন, হাসপাতালে একজন বয়স্ক ব্যক্তিসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদের সবার মাথায় আঘাত রয়েছে।
মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সেক্রেটারি রহমত আলী রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নাসির এক সময় বিএনপির ছাত্র সংগঠনের নেতা ছিলেন এবং এখন দলের সক্রিয় সদস্য। তবে এটি দুই পক্ষের স্থানীয় বিরোধ হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি বলে জানান।
[ad_2]
Source link