[ad_1]
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজয় মেলা বা বিজয় মেলাকে ঘিরে মতবিরোধের জের ধরে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মুহাম্মদ রাসেল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান।
তিনি বলেন, “বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে। এর ফলে বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এলাকা এখন শান্ত,” তিনি বলেন।
আহতদের মধ্যে রাউজান যুবদলের আহ্বায়ক রহিম উদ্দিন, সদস্য শাকিল হোসেন, মুহাম্মদ রিপন, মুহাম্মদ আলমগীর, মুহাম্মদ রবি, পৌর যুবদলের সদস্য আব্দুস সালাম, মুহাম্মদ রাকিব। আহতদের সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া মাসব্যাপী বিজয় মেলা নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে উদ্বোধন বিলম্বিত হয়।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে গোলাম আকবর খন্দকারের সমর্থকরা মেলা উদ্বোধনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকরা হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি নেতাদের কাছে তাদের মন্তব্য পৌঁছাতে পারেনি।
তবে গোলাম আকবরের সমর্থক রহিম উদ্দিনের বরাত দিয়ে প্রথম আলো জানিয়েছে, গোলাম আকবরের অনুসারীরা সমাবেশে জড়ো হলে কয়েকশত লোক মোটরসাইকেলে করে তাদের ওপর হামলা চালায়।
অপরদিকে কাদের চৌধুরীর সমর্থক চট্টগ্রাম যুবদলের সহ-সভাপতি সাবের সুলতান বলেন, আমরা দেখেছি ওই সমাবেশ ও মিছিলে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সমর্থক বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। এ কারণে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। [by us]”
[ad_2]
Source link