বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ (৪ ডিসেম্বর) তার দলের নেতাকর্মীদের এমন কোনো নেতিবাচক বা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছেন যা জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে কারণ আগামী সাধারণ নির্বাচন দলের জন্য ‘অত্যন্ত কঠিন’ হবে।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চট্টগ্রামে এক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, “আসুন শপথ নিতে আসি যে, জনগণের আস্থা (বিএনপিতে) ক্ষুণ্ন করে এমন কিছু করা থেকে আমরা বিরত থাকব।”

বিএনপি প্রশিক্ষন বিষয়ক কমিটি চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে “৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার প্রস্তাব এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণ” শীর্ষক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করে।

তারেক বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে আমরা যাদেরকে আমাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করতাম তারা সেখানে নেই বা তারা এখন মাঠে দুর্বল এবং আমরা সহজেই ক্ষমতায় যাব, দয়া করে মন থেকে তা (এই চিন্তা) দূর করুন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন তার দলের জন্য খুবই কঠিন হবে কারণ অনেক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে এবং অনেক অদৃশ্য শক্তি বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের অসংখ্য নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, “অনুগ্রহ করে ছোটখাটো ভুল দিয়ে আমাদের অর্জন ও ত্যাগকে নষ্ট করবেন না। আমাদের সচেতন হওয়া উচিত যাতে আমাদের অর্জন ও ত্যাগ বানচাল না হয়।”

তিনি বলেন, বিএনপি দলের প্রতি বিদ্যমান জনগণের আস্থা রাখতে ব্যর্থ হলে আগামী নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের বিদ্যমান জনগণের আস্থা বজায় রাখতে হবে। অন্যথায়, আপনি জনগণের ভোট অর্জন করতে পারবেন না। এই আস্থা ধরে রাখা জনগণের দায়িত্ব নয়, বরং এটি আপনার (বিএনপি প্রতিনিধিদের) দায়িত্ব”।

তারেক বলেন, “ভোট না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের এই আস্থা বজায় রাখতে হবে। আর নির্বাচনে জিতলে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।”

বিএনপি নেতা তার দলের নেতাকর্মীদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে এবং এর পক্ষে সমর্থন জোগাতে বলেন।