Homeবিনোদনঅস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতার বর্ণনায় ইসরায়েলি নির্যাতন

অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতার বর্ণনায় ইসরায়েলি নির্যাতন

[ad_1]

৯৭তম অস্কারে সেরা ডকুমেন্টারির পুরস্কার পেয়েছিল ফিলিস্তিনি পরিচালক হামদান বাল্লালের ‘নো আদার ল্যান্ড’। চার বছর ধরে নির্মিত এ তথ্যচিত্রে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারি, সেনাবাহিনীর নির্যাতন, দখলদারদের অত্যাচার—সবকিছু ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ তথ্যচিত্র হামদান বাল্লালকে এনে দেয় অস্কারের সম্মান। গত মার্চে অস্কার পাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। তার আগে চলে অকথ্য নির্যাতন। ওই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন হামদান বাল্লাল।

নিউইয়র্ক টাইমসে সম্প্রতি ‘মাই অস্কার ফর নো আদার ল্যান্ড ডিড নট প্রটেক্ট মি ফ্রম ভায়োলেন্স’ নামের একটি উপসম্পাদকীয় লিখেছেন। তাতে উঠে এসেছে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তাঁর নির্যাতিত হওয়ার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল গত রমজান মাসের এক সন্ধ্যায়। এক প্রতিবেশী এসে খবর দেয়, ইসরায়েলি দখলদারেরা আক্রমণ করেছে। এটা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ক্যামেরা হাতে ছুটে যান। ভিড় বাড়ার পর নিজের পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাল্লাল। বাড়ি ফিরে আসেন। তখন দেখেন কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা তাঁর দিকে আসছে। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে বাড়ির ভেতরে পাঠিয়ে নির্দেশ দেন, যা-ই ঘটুক, যেন দরজা না খোলে।

হামদান বাল্লাল লিখেছেন, ‘আমার বাড়ির দরজায় ইসরায়েলি সেনারা আমাকে আটকে ফেলে। তারা আমাকে মারতে থাকে। গালাগালি দিতে থাকে। অস্কারজয়ী পরিচালক বলে উপহাস করতে থাকে। বন্দুক দিয়ে আমার পাঁজরে আঘাত করে। কেউ একজন পেছন থেকে আমার মাথায় আঘাত করে। আমি পড়ে যাই। আমাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারছিল ওরা, থুতু দিচ্ছিল। প্রচণ্ড ব্যথা পাচ্ছিলাম, ভয় হচ্ছিল। এক সৈন্য আকাশের দিকে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ভেতর থেকে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের আর্তনাদের শব্দ পাচ্ছিলাম। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত। ওই সময় মনে হয়েছিল, হয়তো পরের গুলিটি আমার দিকে ছোড়া হবে, হয়তো আমাকে মেরে ফেলা হবে।’

এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স থেকে হামদান বাল্লালকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হয়। তাঁকেসহ কয়েকজনকে হাতকড়া পরিয়ে, চোখ বেঁধে সেনা জিপে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় সেনাঘাঁটিতে। ২০ ঘণ্টার বেশি সেখানে হাতকড়া ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তাঁকে আটকে রাখে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে বারবার তাঁর ওপর নির্যাতন চলে। এক দিন পর ছেড়ে দেওয়া হয় হামদান বাল্লালকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার ও আমার সম্প্রদায়ের ওপর ওই দিনের আক্রমণ ছিল অত্যন্ত নিকৃষ্ট। ঘটনাটি বিশ্ব মিডিয়ায় খুব আলোড়ন ফেলেছিল। কিন্তু এটা অনন্য ঘটনা নয়, প্রতিদিনের নির্যাতনের একটি চিত্র মাত্র।’

হামদান বাল্লাল লিখেছেন, ‘মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই অস্কারের মঞ্চে আমি একটি সম্ভাবনার বার্তা পেয়েছিলাম। যদিও আমাদের সিনেমা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে, তবু ওই দিনের ঘটনার পর আমার মনে হয়েছিল, আমার দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছি। এখনো দখলদারদের করুণার ওপর বেঁচে আছি আমরা। আমার সম্প্রদায় এখনো অবিরাম সহিংসতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আমাদের সিনেমা অস্কার জিতেছে, কিন্তু আমাদের জীবন আগের চেয়ে ভালো নয়।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত