গত কয়েকটা দিনের ঘটনা নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। গ্রেপ্তার, আদালত, কারাগার—সব মিলিয়ে একটা ট্রমার মধ্যে ছিলেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। গতকাল ফেসবুকে ফারিয়া জানান, এখন তিনি আছেন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে। জীবনের কঠিন সময় পার করে শিগগিরই স্বরূপে ফিরতে পারবেন বলেই বিশ্বাস তাঁর।
গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে বাসায় ফেরার সময় আঁচ করা গিয়েছিল ফারিয়ার মানসিক অবস্থা। গাড়ির ভেতর কপালে হাত দিয়ে চুপচাপ বসে ছিলেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কতটা বিমর্ষ তিনি। রুপালি পর্দায় অভিনয়ের সুবাদে আদালতের কাঠগড়া, কারাগার দেখলেও বাস্তবে এই প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো তাঁর।
আদালতে যখন ফারিয়াকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে সময় তাঁর মাথায় ছিল হেলমেট। পরানো হয়েছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। কাঠগড়ায় একসময় ফারিয়াকে চোখ মুছতেও দেখা গিয়েছিল! সবকিছুই ছিল তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাসায় যাওয়ার পর ফেসবুকে ফারিয়া জানিয়েছিলেন, জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছেন তিনি। ভেঙে পড়েছেন মানসিকভাবে। এবার জানালেন অসুস্থতার কথা।
ফেসবুকে গতকাল ফারিয়া লিখেছেন, ‘বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি। এই পরিস্থিতিতে কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব।’
গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সহকর্মীদের পাশে পেয়েছেন ফারিয়া। ভক্তরাও তাঁকে জুগিয়েছেন সাহস। ভেঙে পড়লেও সবার ভালোবাসা ও সমর্থনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গত রোববার থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের এক হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত সোমবার অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর এক দিন পর মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।