২০২৩ সালের নভেম্বরে সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ২০২৪ সালের রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। তবে ঈদের আগে টিজার প্রকাশ করে জানানো হয় রোজা নয়, কোরবানির ঈদে আসছে সিনেমাটি। শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। এরপর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নির্মাতা ও প্রযোজকেরাও নিশ্চিত করে কিছু বলছিলেন না। অবশেষে গতকাল নতুন পোস্টার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, কোরবানির ঈদে সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এশা মার্ডার।
গত বছর প্রকাশিত এশা মার্ডার সিনেমার টিজারে দেখা যায়, একই জেলায় খুন-ধর্ষণের শিকার হয় অর্চনা গোপ, জেসমিন টিউলিপ এবং এশা জান্নাত নামের তিনজন মেয়ে। তিনটি খুনই হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসের পর। কে সেই নৃশংস খুনি? ধর্ষকই-বা কে? উত্তর খুঁজতে মিশনে নামে পুলিশ কর্মকর্তা লিনা। সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সানী সানোয়ার। যিনি নিজেও একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা লিনার ভূমিকায় আছেন আজমেরী হক বাঁধন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। পর্দায় চরিত্রটি ঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিয়েছেন পরামর্শ। অন্যান্য চরিত্রে আছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফারুক আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, সুমিত সেনগুপ্ত, শরীফ সিরাজ, পূজা ক্রুজ, সরকার রওনক রিপন, হাসনাত রিপন, তানভীর মাসুদ প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে কপ ক্রিয়েশন ও বিঞ্জ।