বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান। ৫ দিনব্যাপী এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। তিনি জানান, ‘উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জমা পড়া ৩০০ চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে বাছাই করে ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। উৎসবটি এবার রাজধানী ঢাকা ছাড়াও একযোগে ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়, যা দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। আমরা খুব শিগগিরই পঞ্চম চলচ্চিত্র উৎসব আরও বড় পরিসরে আয়োজন করব এবং সেখানে আরও নতুন প্ল্যাটফর্ম যুক্ত করা হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহীন দিল-রিয়াজ। উৎসব পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির এবং সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক মো. ইকরামুল ইসলাম।
উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র : ফুলেরা পোশাক পরে না, পরিচালক : আসিফ ইউ হামিদ; শ্রেষ্ঠ নির্মাতা (কাহিনিচিত্র) : সালমা সুলতানা আশা (সাইলেন্স ইন দ্য ক্যাওয়াস); বিশেষ জুরি (কাহিনিচিত্র): দাঁড়কাক, পরিচালক : জায়েদ সিদ্দিকী; শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র ও নির্মাতা : ওয়েটিং ফর সিনেমা, পরিচালক : সাঈদী হাসান রাব্বি; বিশেষ জুরি (প্রামাণ্যচিত্র) : দ্য স্ক্র্যাপ, পরিচালক : মাসউদুর রহমান। এছাড়া বিশেষ কারিগরি পুরস্কার লাভ করেন- শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : সাদেকুল ইসলাম জুবায়ের বিল্লাল হোসেন (সাইলেন্স ইন দ্য ক্যাওয়াস); শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : মো. আজহারুল হক (ঘরে ফেরা); শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পক : আহসান আল মিরাজ (নেকলেস); শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পক: নাজমুল মুহাম্মদ (নেকলেস)।
পুরস্কার হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা বিভাগে ১ লাখ টাকা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কারের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়। কারিগরি বিভাগগুলোতে প্রতিটি পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি পান ৩০ হাজার টাকা করে। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী নির্মাতাদের প্রদর্শনী সার্টিফিকেট ও উৎসব স্মারক প্রদান করা হয়।
উৎসবের শুরু থেকে ২৭ মে পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজনে মোট ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়, যার মধ্যে ৬০টি কাহিনীচিত্র এবং ২৯টি প্রামাণ্যচিত্র। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের প্রচার এবং দেশীয় চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে উৎসবটির ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন আয়োজকেরা।