Homeবিনোদনচরিত্রটি তিনশত ভাগ আলাদা | কালবেলা

চরিত্রটি তিনশত ভাগ আলাদা | কালবেলা

[ad_1]

ট্রলারের পাটাতনে ঘুমানো, নদীর পাড়ে বসবাস—এরপর নিজেকে জীবন্ত এক মাঝির চরিত্রে রূপান্তর করা। সবকিছুই অভিনেতা এফ এস নাঈমের জন্য অভিনয় নয় জীবনেরই প্রথম অভিজ্ঞতা, যা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়া তার ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার হোসেন মাঝির চরিত্রের জন্য করেছেন তিনি। ইফফাত আরেফিন তন্বীর গল্পে এবং অরুণ চৌধুরীর নির্মাণে এতে নাঈমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মিথিলা। সিনেমায় নিজের অভিনয় ও কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। লিখেছেন, মহিউদ্দীন মাহি

‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে চার বছর পর বড় পর্দায়। কাজটি আপনার কতটা প্রিয়?

একজন অভিনেতা হিসেবে আমি যে ধরনের গল্প পছন্দ করি, যেমন সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে আনন্দ লাগে, যে সিনেমার গান গল্পের সঙ্গে মিশে যায় এবং পুরো সিনেমা ইউনিট একটি পরিবারের মতো হয়ে শুটিং সেটে দিনের পর দিন রাতের পর রাত কাজ করতে পারে। তেমন একটি সিনেমায় অভিনয় করতে পারা সত্যিই আনন্দের। যার কারণে কাজটি আমার ভীষণ প্রিয়। এ ছাড়া এই সিনেমার গল্প, গান এবং বিশেষ করে আমার চরিত্র। এ জার্নির সবকিছুই ছিল দুর্দান্ত অভিজ্ঞতায় ভরা।

সিনেমাটি এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে। আপনার প্রত্যাশা কেমন…

‘জলে জ্বলে তারা’ নিয়ে আমি প্রত্যাশী। কারণ এ সিনেমার গল্প, গান ও চরিত্রগুলো দেখে দর্শক চোখে আরাম পাবে। আমাদের গল্পটি মানবিক সম্পর্কের। এখানে সব গান রোমান্টিক। এগুলো দর্শকদের ভিন্ন একটি অনুভূতি দেবে। এরই মধ্যে দর্শকের ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছি। আশা করছি সামনে দর্শক চাহিদা

আরও বাড়বে।

সিনেমায় আপনাকে মাঝির চরিত্রে দেখেছে দর্শক। কেমন ছিল এই অভিজ্ঞতা…

‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম ‘হোসেন মাঝি’। এই কাজটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা বলার আগে একটি বিষয় বলতে চাই। সেটি হচ্ছে, আমি সবসময় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি। চেষ্টা করি চরিত্রে নিজেকে শতভাগ ফুটিয়ে তুলতে। যার প্রমাণ বিগত পাঁচ বছরে মুক্তি পাওয়া আমার অভিনীত ওয়েব সিরিজগুলোয় দর্শকরা পেয়েছেন। যেমন, ‘কারাগার’ সিরিজে আমাকে দর্শক এক চরিত্রে পেয়েছে তো ‘মিশন হান্টে’ অন্যরকম আবার ‘রইলো বাকি দশ’-এ একেবারেই আলাদা। তারপর ‘কালপুরুষ’ সিরিজে তো অন্য এক নাঈমকে দেখেছে সবাই, যা প্রশংসাও পেয়েছে। এই চরিত্রগুলো আমার একটি অন্যটি শতভাগ আলাদা ছিল। কিন্তু ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমাটিতে মাঝির চরিত্রটি আমার কাছে তিন শত ভাগ আলাদা লেগেছে। কারণ আমি নাটক থেকে বড় পর্দায় অভিনয় করেছি। এমন মাঝির চরিত্রে এর আগে আমার কখনোই করা হয়নি। বলতে গেলে বাস্তব জীবনেও না। তাই প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা গ্রহণে শুটিংয়ে আমি উচ্ছ্বাসিত ছিলাম।

মিথিলার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলেন। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

মিথিলার সম্পর্কে এক কথায় যদি বলি তাহলে বলব, ও অসাধারণ একজন সঙ্গী। যে দল হয়ে কাজ করতে সহযোগিতা করে, যা নিয়ে আমাদের ‘জলে জ্বলে তারা’ টিমের সবাই ওর খুব প্রশংসা করেছে। এমন একজন সহকর্মীর সঙ্গে কাজ করতে অবশ্যই ভালো লেগেছে।

এই সিনেমাটি দর্শক কেন দেখবে…

এ সিনেমাটি কেন দেখবে, তার চেয়ে বড় বিষয় ‘জলে জ্বলে তারা’ যারা একবার দেখবে, তারা বারবার দেখতে চাইবে। কারণ আমি মনে করি আমাদের দেশের পানি ও মাটির গল্প এখনো আমাদের দর্শকের অনেক জানার বাকি আছে। তাই যে একবার দেখবে সে বারবার দেখবে।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত