Homeবিনোদনঝড়বৃষ্টি থামাতে পারল না ‘ইত্যাদি’র শুটিং

ঝড়বৃষ্টি থামাতে পারল না ‘ইত্যাদি’র শুটিং


Ajker Patrika

ঝড়বৃষ্টি থামাতে পারল না ‘ইত্যাদি’র শুটিং

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫, ০৮: ৩৫

Photo

ইত্যাদির মঞ্চে হানিফ সংকেত। ছবি: সংগৃহীত

গত ঈদুল ফিতরের ‘ইত্যাদি’র শুটিং সেটে অতিরিক্ত দর্শক আগমনের কারণে হয়েছিল হট্টগোল, বিপাকে পড়তে হয়েছিল ইত্যাদির টিমকে। এবার কোরবানির ঈদে ইত্যাদির টিম পড়েছে ঝড়ের কবলে। পরিচালক ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত জানিয়েছেন, ইত্যাদি অনুষ্ঠানের ৩৭ বছরে এই প্রথম এত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল টিম। এবারও সব বাধা পেরিয়ে ঝিনাইদহে শেষ হয়েছে ইত্যাদির শুটিং।

১৭ মে ঝিনাইদহের মহেশপুরের দত্তনগরের ফসলের মাঠের বটবৃক্ষ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় ইত্যাদির শুটিং। এ শুটিংকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। ইত্যাদি টিমও ছিল প্রস্তুত। কিন্তু বাদ সাধে বৃষ্টি। সন্ধ্যা থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার ঝড়, বজ্রপাত ও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শুটিংয়ের সেট, লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম। দর্শকেরা ধরে নিয়েছিলেন, এমন অবস্থায় শুটিং অসম্ভব। হতাশ হয়ে চলে গিয়েছিলেন সবাই। কিন্তু হার মানেননি ইত্যাদির কলাকুশলীরা। সবকিছু ঠিক করে রাত ১২টার দিকে শুরু হয় শুটিং। খবর পেয়ে মধ্যরাতে ছুটে আসেন দর্শক। শুটিং যখন শেষ হয়, তখন প্রায় ভোর।

শুটিং সেটের পরিস্থিতি বর্ণনা করে ফেসবুকে হানিফ সংকেত লেখেন, ‘শিল্পীদের নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় যাত্রা শুরু করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাতে বেজে যায় রাত ৮টা। ততক্ষণে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমাদের লাইট, সাউন্ড সিস্টেম, সেট—সবকিছু বৃষ্টির পানিতে ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৃষ্টির তাণ্ডবে পুরো স্থানটি বিপর্যস্ত। সবাই হতাশ। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ইত্যাদি হবে না ভেবে হাজার হাজার দর্শক বৃষ্টিতে ভিজে ফিরে গেছেন।’

পরিস্থিতি দেখে মন খারাপ হলেও ভেঙে পড়েননি হানিফ সংকেত। সিদ্ধান্ত নেন শুটিং করার। হানিফ সংকেত লেখেন, ‘সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই—যে করে হোক অনুষ্ঠান করতে হবে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা চেয়ারগুলো পরিষ্কার করে যথাস্থানে বসানো হলো। তিন সেট সাউন্ডের এক সেট মেরামত করা হলো। ব্যবহার উপযোগী অল্প লাইট দিয়ে ধারণের পরিকল্পনা করা হলো। তাৎক্ষণিকভাবে তিনটি কর্কশিটে ইত্যাদি লিখে বটগাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো। এসব করতে করতে বেজে গেল রাত ১২টা। মধ্যরাতে যেন আবার জেগে উঠল বটগাছ চত্বর। কোথা থেকে যেন রাতের অন্ধকার, কর্দমাক্ত রাস্তা পার হয়ে শত শত দর্শক ছুটে এলেন। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম। দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখে নিমেষে সারা দিনের ক্লান্তি-অবসাদ দূর হয়ে গেল।’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত