কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসরের দ্বিতীয় দিন ওয়ার্ল্ড উইমেন কানস অ্যাজেন্ডা ডিসকাশন পর্বে অংশ নিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী ও প্রযোজক বর্ষা। ‘নিউ এরা অব আইডেন্টি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড গ্লোবাল সিনেমা’ শীর্ষক এই সেমিনারে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেন বর্ষা।
শুরুতেই বর্ষা জানিয়ে দেন তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। অভিনেত্রী পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি একজন ব্যবসায়ী। কাজ করেন মানুষের উন্নয়নে। বর্ষা বলেন, ‘অভিনয়জীবনের বাইরে ব্যবসায়িক জীবনেও আমি আমার ইচ্ছা, মেধা এবং লক্ষ্যপূরণে সচেষ্ট থাকি। আমার ব্যবসায় সব সময় নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্যই একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমার এই অংশগ্রহণ।’
সিনেমা নিয়ে বর্ষা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী (সিনেমার) স্টোরি টেলিং বিষয়টির এক অসাধারণ ক্ষমতা ও শক্তি আছে, যা মানুষকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে। বাস্তবসম্মত গল্পগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং অধিকারের বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমি মনে করি, এ ধরনের সিনেমা যখন কোনো গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে পৌঁছাতে পারে, তখন অথেন্টিক স্টোরি টেলিং দিয়ে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের, বিশেষ করে বলব দক্ষিণ এশিয়ার প্রান্তিক ও সংখ্যালঘুদের কথা, তাদের সঙ্গে সারা বিশ্বের মানুষের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়। অবশ্যই তাদের পরিচয়কে ছোট করে নয়, বরং আবেগ দিয়ে তাদের কথা সাধারণের সামনে উপস্থাপন করা যায়।’
অনুষ্ঠানে বর্ষার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন পর্তুগিজ অভিনেত্রী ইসাবেল জুয়া, ফরাসি অভিনেত্রী মারিয়ানি বোরগো এবং হলিউড অভিনেত্রী ও নির্মাতা নোরা আরমানি। এদিন বর্ষা হাজির হয়েছিলেন বাঙালি সাজে। লাল-কালো রঙের জামদানি, লাল ব্লাউজ, হাতে কালো ঘড়ি, খোলা চুল আর হালকা মেকআপে মানানসই গয়নায় নিজেকে মেলে ধরেন এই নায়িকা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিলেন বর্ষা। এর আগে ২০২২ সালে উৎসবের ৭৫তম আসরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল।
এবারের উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের ‘আলী’। ইতিমধ্যে কান উৎসবে যোগ দিয়েছেন আলীর পরিচালক আদনান আল রাজীবসহ সিনেমার কলাকুশলীরা।