Homeবিনোদননির্মাতা থেকে উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

নির্মাতা থেকে উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

[ad_1]

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পরে বঙ্গভবনে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ মোট তিনজনকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

শপথ নেওয়া বাকি দুই উপদেষ্টা হলেন আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশিরউদ্দীন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। নতুন তিনজন শপথ নেওয়ায় বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারের বর্তমান সদস্যসংখ্যা বেড়ে ২৪-এ দাঁড়াল।

নির্মাতা হিসেবে বাংলাদেশের সিনেমাকে নতুন আঙ্গিক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শোবিজ মিডিয়ায় তাঁর আত্মপ্রকাশ ১৯৯৮ সালে। তিনি একধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, নাট্যনির্মাতা ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা। নিজস্ব আঙ্গিকে চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘ছবিয়াল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ছবিয়াল থেকে আত্মপ্রকাশ করেছেন দেশের জনপ্রিয় অনেক নির্মাতা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে দেশের সিনেমাকে নতুন আঙ্গিক দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভাষায় কথা বলার অবিরাম চেষ্টা ছিল সরয়ার ফারুকীর। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনেও।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া

বঙ্গবভনে উপদেষ্টা হিসেবে শপথবাক্য পাঠ শেষে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এটা আমার জন্য অভাবনীয় এক অভিজ্ঞতা। কারণ আমি কখনোই কোনো পদ বা চেয়ারে বসব এটা ভাবি নাই। কিন্তু প্রফেসর ইউনুসের কলিগ হওয়াটা খুবই ভালোলাগার, এবং ‘না’ বলাটা মুশকিল। আমি আশা করি, যে কদিনই কাজ করব, কিছু পরিবর্তন হয়তো ঘটাতে পারব। যদি সেটা পারি তাহলে আমি মনে করব, যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমি এসেছি তা সফল হবে। সবার প্রতি আমার একটাই বক্তব্য, আমার কাজের মধ্যে যদি কোনো ভুল থাকে, ফিল ফ্রি, আমাকে সেটা ধরিয়ে দেবেন, আমি সেটা সাদরে গ্রহণ করব।’

পরিবারের গল্প

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর জন্ম ১৯৭৩ সালের ২ মে, ঢাকার নাখালপাড়ায়। তাঁর বাবা আবদুর রব, মা কুলসুম বেগম। বেড়ে উঠেছেন মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর অনেক নির্মাণেই ফুটে উঠেছে মধ্যবিত্ত পরিবারের নানা সংঘাত আর ভালোবাসার গল্প। ২০১০ সালে বিয়ে করেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাকে। ইলহাম নুসরাত ফারুকী নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের।

নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ

১৯৯৮ সালে ফারুকী নির্মিত ‘ওয়েটিং রুম’ মুক্তি পায়। আড়াই দশকের ক্যারিয়ারে রয়েছে ‘স্পার্টাকাস ৭১’, ‘চড়ুইভাতি’, ‘কানামাছি’, ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি’, ‘ঊনমানুষ’, ‘আমি কি ভুলিতে পারি’, ‘ক্যারাম’-এর মতো নন্দিত অনেক টেলিছবি। টিভি ধারাবাহিকেও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জনপ্রিয় এক নাম। তাঁর জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিকের মাঝে রয়েছে ‘একান্নবর্তী’, ‘সিক্সটিনাইন’, ‘৪২০’ ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন নির্মাণ

বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অনন্য এক নাম। তাঁর নির্মাণে জনপ্রিয় হয়েছে দেশের অসংখ্য পণ্য ও পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্র। গ্রামীণ ফোনের ‘মার জন্য মোবাইল ফোন’-এর বিজ্ঞাপন তাঁর প্রথম দিকের একটি অনন্য বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমা’ সংলাপটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এমনি অসংখ্য বিজ্ঞাপনচিত্রের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

চলচ্চিত্র নির্মাণ

২০০৪ সালে মুক্তি পায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ব্যাচেলর’। অভিনয় করেছিলেন হুমায়ূন ফরীদি, আহমেদ রুবেল, অপি করিম, জয়া হাসানের মতো অভিনয়শিল্পীরা। ফারুকী নির্মিত আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘টেলিভিশন’, ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ ইত্যাদি। প্রখ্যাত বলিউড অভিনেতা ইরফান খানের যৌথ প্রযোজনা ও অভিনয়ে নির্মাণ করেছেন ‘ডুব’ নামের সিনেমা। বলিউড অভিনেতা নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী, সুরকার এ আর রাহমান প্রযোজক হিসেবে যুক্ত ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ সিনেমায়। গত বছর ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর নির্মিত অটোবায়োগ্রাফি সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’।

লেখক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

নির্মাণের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও সুনাম রয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর। বিভিন্ন সময়ে নানা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা কবিতা। ‘রাফকাট’ নামে চলচ্চিত্র বিষয়ক একটি বই রয়েছে তাঁর।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত