গত রোজার ঈদে ‘চক্কর’ সিনেমায় পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মঈনুল চরিত্রে হত্যা রহস্য উন্মোচন করতে দেখা গেছে মোশাররফ করিমকে। আবারও তিনি আসছেন রহস্য উদ্ঘাটন করতে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গর দর্শকদের জন্য তৈরি হলো মোশাররফ করিম অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘মির্জা’। এতেও তিনি থাকছেন গোয়েন্দা চরিত্রে; তবে প্রাইভেট গোয়েন্দা।
মির্জা সিনেমাটি পরিচালনা করছেন অভিনেতা ও নির্মাতা সুমন আনোয়ার। নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। গোয়েন্দা গল্পে একজন গোয়েন্দাকে যেভাবে দেখা যায়, মির্জা ঠিক তেমনটা নয়। মির্জার বয়স ৫০। বেশ মোটাসোটা, দৌড়াতে পারে না। ফাইট করতে পারে না। তবে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন একজন মানুষ। গোয়েন্দা হয়ে উঠতে যে গুণাবলি দরকার, তার চেয়ে কিঞ্চিৎ কম নিয়ে মির্জা কাজে নেমে পড়ে।
নির্মাতা সুমন আনোয়ার জানিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে তৈরি হচ্ছে মির্জা। প্রথম কিস্তির নাম ‘ক্লাব টোয়েন্টি নাইন’। মির্জার গোয়েন্দা হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রথম কিস্তি। এরপর ধারাবাহিকভাবে আসবে মির্জার পরের কিস্তিগুলো। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে মির্জার দুটি পোস্টার। একটি পোস্টারের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘পরে তদন্ত, আগে টাকা, মির্জা সাহেবের হিসাব পাকা’। আরেক পোস্টার শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘আইতাছে মির্জা, ক্রিমিনাল ভাগি যা!’ চলতি মাসেই ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে সিনেমাটির।
সিনেমাটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী সুমন আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি গল্পের শুটিং শেষে নির্মাতা হিসেবে একধরনের প্রত্যাশা থাকে। মির্জার ক্ষেত্রেও আমার সেই প্রত্যাশা আছে। মির্জার গল্প, শিল্পীদের পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে সিনেমাটি নিয়ে আমি খুব এক্সাইটেড।’
মির্জায় মোশাররফ করিমের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন পারসা ইভানা, এরফান মৃধা শিবলু, তামান্না হক বর্ণা, সৌমি, দিলরুবা দোয়েল প্রমুখ। গত বছর সেপ্টেম্বরে হয়েছে সিনেমার শুটিং। সেই সময়ে শুটিং করা চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানান নির্মাতা। সুমন আনোয়ার বলেন, ‘মির্জা যে সময়ে শুটিং হয়েছে, তখন দেশের পরিস্থিতি ছিল অস্থিতিশীল। এমন পরিস্থিতিতে একটি কোয়ালিটি প্রোডাকশন তৈরি করাও যুদ্ধের মতো। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি দর্শকদের একটি সুন্দর সিনেমা উপহার দেওয়ার।’