Homeবিনোদনশীতে গ্রামে খেজুরের রসের দিনগুলো মিস করি : মাহি

শীতে গ্রামে খেজুরের রসের দিনগুলো মিস করি : মাহি

[ad_1]

ছোট পর্দার এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। তার প্রকৃত নাম ফারজানা ইয়াসমিন কলি। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে অনন্য মাহি। দর্শকবন্দি হন তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়াজালে। মডেলিং দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখার পর একাধিক নাটক এবং ওয়েবে অভিনয় করে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও কাজ করছেন। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন নজর কাড়ছেন এই সুন্দরী। কদিন আগে কথা হয় সামিরা খান মাহির সঙ্গে। এ সময় জীবনের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

স্কিন কেয়ার নিয়ে জানতে চাইলে মাহি বলেন, ‘আমরা নাটকের অভিনেতারা সারা দিন রোদে থাকি। যতই স্কিন কেয়ার করি, দেখা যায় দিনশেষে সানট্যান হয়ে থাকে। সানট্যান থেকে আমাদের সবচেয়ে বেশি স্কিন ড্যামেজ হয়। সে জায়গা থেকে ওভাবে করে স্কিন কেয়ার করলেও আসলে কাজে দেয় না। কিন্তু আমি স্কিন কেয়ার করতে সবসময় চেষ্টা করি, যেহেতু আমি শোবিজে কাজ করি। আমার ইনার বিউটির সঙ্গে আউটার লুকটাও ইম্পরট্যান্ট।’ খাদ্যাভ্যাস নিয়ে তিনি বলেন, ‘খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে আমি খুব আপসেট। যারা আমার সঙ্গে সেটে কাজ করে তারা জানে যে আমি সবসময় বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাই। আমার মা আমাকে খাবার বানিয়ে দেয়। বাইরের খাবার আমার তেমন খাওয়া হয় না, মাঝেমধ্যে বা পরিবারের সঙ্গে ছাড়া। অধিকাংশ সময় আমি বাসার খাবারই খাই।’

ঘুম প্রসঙ্গে মাহি জানান, ‘ঘুম আসলে আর্টিস্টদের জন্য নয়। আপনার জানেন যে আমরা শুটিং অনেক সকালে শুরু করি। টিভিসির ক্ষেত্রে সকাল ৫ থেকে ৬টার দিকে এবং নাটকের ক্ষেত্রে ৮টায় ঘুম থেকে উঠে সেটে যেতে হয়। অনেক সময় শুটিং অনেক রাত পর্যন্তও হয়। একেকদিন একেকরকম। কোনোদিন ৩ ঘণ্টা, কোনোদিন ৪ ঘণ্টা, সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টার মতো ঘুম হয়।’

নতুন বছরের ভাবনা নিয়ে এই অভিনেত্রী জানান, ‘২০২৪ সালের শুরুর দিকে একটু আপসেট ছিলাম। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে ২০২৩ এ আমি তেমন ভালো পারফরমেন্স করিনি। জানি না দর্শকের জায়গা থেকে কীভাবে নিয়েছে। কিন্তু শেষদিকে তো ভালোই হলো। সেভি বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলাম। আশা করি ২০২৫ আরও ভালো হবে।’

শীতের প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘আসলে শীতটা তো অনেক দ্রুত এসে চলে যায়। ঢাকাতে ওভাবে শীত তো তেমন পড়েই না, গরম অনেক বেশি পড়ে। শীত এলে আমরা এনজয়ই করি। কারণ অধিকাংশ সময় আমাদের রোদের মধ্যেই কাজ করতে হয় এবং মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। শীতের দিনে একটা দিক ভালো যে, মেকআপ নষ্ট হয় না। সেজন্য ভালো লাগে শুটিং করতে। আর কেন জানি না আমি এমনিতেই শীত পছন্দ করি।’

গ্রামে যাওয়া হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামে যেতাম তখন কুয়াশা, গ্রামের বাড়িতে খেজুরের রস এ ব্যাপারগুলো খুব কাছ থেকে দেখতাম। কিন্তু বড় হওয়ার পর ওভাবে আসলে যাওয়া হয় না। বিশেষ করে কাজের ব্যস্ততায় একদমই যাওয়া হয় না। সে জায়গা থেকে গ্রামের দিনগুলো মিস করি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যতবার কুয়াশা দেখি, প্রতিবার মনে পড়ে আগে এরকম ভোর সকালে কুয়াশার মধ্যে বাবা গোসল করতে নিয়ে যেত।’

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত