Homeবিনোদনসন্তানদের নিয়েই আমিরের যত চিন্তা

সন্তানদের নিয়েই আমিরের যত চিন্তা

[ad_1]

চার দশকের বেশি সময় ধরে সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আমির খান। মনপ্রাণ দিয়ে এত দিন শুধু কাজই করে গেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। কাজের ব্যস্ততায় পরিবারের দিকে খেয়াল রাখার তেমন সুযোগ পাননি। ফলে সন্তানদের সঙ্গে তাঁর এক ধরনের দূরত্ব রয়ে গেছে। এই দূরত্ব দূর করতে উদ্যোগী হয়েছেন আমিরকন্যা ইরা খান। বাবাকে নিয়ে মানসিক থেরাপিতে অংশ নিচ্ছেন ইরা। এই বিশেষ থেরাপি নিয়ে তাঁদের বাবা-মেয়ের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমির।

নেটফ্লিক্সের এক শোতে আমির খান মুখ খুলেছেন এ নিয়ে। জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যকার সমস্যাগুলো নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে ও সেগুলোর সমাধান করতে যৌথ থেরাপি নিচ্ছেন তাঁরা। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে আমির বলেন, ‘ইরাই আমাকে অনেকটা জোর করে এ পথে নিয়ে এসেছে। তবে থেরাপিটা খুবই কাজে দিয়েছে। ইরা ও আমি কয়েক বছর ধরে যৌথ থেরাপি নিচ্ছি। আমাদের নিজেদের সম্পর্ক ভালো রাখার জন্যই থেরাপিস্টের কাছে যাওয়া। বছরের পর বছর ধরে যে সমস্যাগুলো ছিল আমাদের মধ্যে, তা সমাধানের একটা পথ পেয়েছি এর মাধ্যমে। প্রথমে অস্বস্তিতে ছিলাম, কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছি এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে হাজির হয়ে পরিবারে তাঁর অবদান নিয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেছিলেন আমির খান। জানিয়েছিলেন, কাজকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে গিয়ে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর পারিবারিক জীবন। তিন সন্তান—ইরা, জুনায়েদ ও আজাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁদের পাশে থাকতে পারেননি অভিনেতা।

ওই শোতে আমির খান বলেন, ‘একসময় ইরা যখন ডিপ্রেশনে ভুগছিল, ওই সময় তার পাশে থাকার দরকার ছিল আমার। এখন যদিও সে ভালো আছে। জুনায়েদ ক্যারিয়ার শুরু করছে। বলতে গেলে আমাকে ছাড়াই বড় হয়েছে সে। এখন সে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে, এ সময়ে যদি তার সঙ্গে থাকতে না পারি, তাহলে লাভ কী? আজাদের বয়স এখন ৯ বছর। বছর তিনেকের মধ্যে সে টিনেজার হবে। তার শৈশব তো আর ফিরে আসবে না।’ সব দিক বিবেচনা করে আমির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সন্তানদের সঙ্গে কাটাবেন বেশির ভাগ সময়।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত