Homeরাজনীতিঅভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে: আমীর খসরু

অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে: আমীর খসরু

[ad_1]

অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে: আমীর খসরু

ঢাবি প্রতিনিধি

অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত প্রশ্ন: সমাধানের রাজনীতি কী?’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে যেতে পারে। নদীবিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনে যা বলা হয়েছে, তা মেনে আমাদের নতুন একটা বয়ান তৈরি করতে হবে। অকার্যকর জাতীয় নদী সংরক্ষণ কমিশনকে কার্যকর করতে হবে।’

সেমিনারে বক্তারা পানিবিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে অভিন্ন নদী নিয়ে নতুন একটা অবস্থান দাঁড় করাতে হবে বলে মত দেন। তাঁরা বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। অকার্যকর জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে কার্যকর করে নদী বিষয়ে আমাদের অধিকার সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।’

বক্তাদের কথায় উঠে আসে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর আন্তর্জাতিক নদী বিষয়ে কোনো সমাধান দেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে সমাধান জরুরি।

অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সমাধানের রাজনীতি কোথায়, সেটা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভারতের কী চাহিদা, তা প্রথম পাঠ হওয়া উচিত নয়। বর্তমান ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশের কী চাহিদা, তার ওপর নির্ভর করেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। ভারত ছাড়াও প্রতিবেশী অনেক রাষ্ট্র রয়েছে। সবার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে।’

গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, বাংলাদেশের শাসকশ্রেণির দুই ধরনের ভারতনীতি দেখা গিয়েছে; ভারতের প্রতি অন্ধ আনুগত্য আর ভারতবিরোধিতা। অন্ধ আনুগত্যকারীরা ভারতের প্রশ্রয়ে অনেক কিছু করলেও নদী প্রশ্নের কোনো সমাধান খোঁজেনি। আর যারা ভারতবিরোধিতার নীতি অবলম্বন করেছে, তাদের কার্যক্রমও জনপ্রিয়তা অর্জন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। কেউই নদী প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আনতে সক্ষম হয়নি। নদী প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে হলে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ কাফী রতন, রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, গবেষক আফিফা রাজ্জাক মুনা, ঢাবির প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষক দীপ্তি দত্ত, নদীবিষয়ক সংগঠন রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন প্রমুখ। ইউনিটি ফর বাংলাদেশের মুখপাত্র মঞ্জুর মঈন সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত