Homeরাজনীতিঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই: মান্না

অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই: মান্না

[ad_1]

অভ্যুত্থান থেকে সৃষ্ট প্রত্যাশাগুলো পূরণে কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাষ্ট্র ভাবনা ও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও নির্বাচনের পথ নকশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ট্রানজিশন ফ্রম ফ্যাসিজম টু ডেমোক্রেসি যখন বলি— তখন একটা রোডম্যাপ দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউই কোনও রোডম্যাপের কথা বলছেন না। আর্মি প্রধান একটা বলে, আসিফ নজরুল ও সাখাওয়াত সাহেব আর একটা বলে। যাই বলেন, যথাযথ সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন। ঠিকমতো কাজ করলে এক বছরের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানুষের চেতনার যে উন্মেষ আমরা দেখেছি, তা অভূতপূর্ব। তবে সেই অভ্যুত্থান থেকে সৃষ্ট প্রত্যাশাগুলো পূরণে কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সংস্কারের এখন কি পরিস্থিতি? চারমাস একদিনে সংস্কার কতটুকু এগিয়েছে? আমি দেখি না। সংস্কার মানে গুণগত রূপান্তর। সামনে যে সময় আছে তাতে কতটুকু করবেন?

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, প্রথম ভুল যেটা বঙ্গবন্ধু করলেন— হাতিয়ার জমা দেও, সার্টিফিকেট নিয়ে যাও। সেই সার্টিফিকেট নেওয়া এখনো শেষ হয়নি। একইসঙ্গে একটা আওয়ামী করণের প্রক্রিয়া শুরু করলেন। জেনারেল জিয়া প্রথম যে ভুল করলেন— তিনি রাষ্ট্রবিরোধীদের পুনর্বাসন করলেন। যে আর্মি অফিসাররা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন তাদের পুলিশ গঠনে পাঠালেন। পুলিশ ছিল জনগণের, কিন্তু তাদের মিলিটারাইজড করা হলো। তারপর পুলিশ জনবিচ্ছিন্ন হলো, তাদের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলো। তৃতীয়ত, তিনি জেনারেল এরশাদকে চিফ অব আর্মি স্টাফ করেছিলেন। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সারওয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বিপ্লবী সরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে কোনও লিখিত সংবিধান নেই। আমাদের সংবিধানকে অন্তত দুই বছর স্থগিত রেখে কাঠামোগত সংস্কার করা উচিত।

সাবেক সচিব আবু আলম শহিদ খান বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু গত ৫৪ বছর ধরে তা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি। ফলে বর্তমানে সংস্কারের যে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ, তা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গণঅভ্যুত্থানকে ভাগ করার কিছু নাই। ছাত্ররা করেছে না রাজনৈতিক দল করেছে, ইসলামিস্টরা করেছে না বামরা করেছে। সবাই মিলে করেছে বলেই এটা গণঅভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের স্পিরিট সফল করতে হলে আরও অনেক দূর যেতে হবে। 

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আইয়ুব-ইয়াহিয়ার চরিত্র শেখ মুজিবের উপর ট্রান্সফার হয়েছে। এরশাদের চরিত্র শেখ হাসিনার উপর ট্রান্সফার হয়েছে। শেখ হাসিনার চরিত্র আগামীতে কারও উপর ট্রান্সফার হবে না এর কোনও নিশ্চয়তা নেই। আমাদের বিদ্যমান সব বিষয় সংস্কার প্রয়োজন। 

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রভাবনার প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমাদের রাষ্ট্র নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। যারা দেশের এই অবস্থার জন্য দোষী তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোর ক্ষেত্রে জানুয়ারির মধ্যে একমত হতে হবে। 

এ সময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ প্রমুখ।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত