Homeরাজনীতিআগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মশাল মিছিল

আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মশাল মিছিল

[ad_1]

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ ও ভারতসহ আধিপত্যবাদী সব দেশের সঙ্গে অসম চুক্তি প্রকাশ ও বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্রের সঞ্জীব চত্বরের সামনে থেকে মশলা মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসে রাজু ভাস্কর্য সমাবেশ করে তারা।

সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে শান্তিরক্ষা মিশনের সৈন্য পাঠানোর যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য মমতা ব্যানার্জি করেছেন— আমরা মনে করি, তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। এটা ভুলে যাবেন না,  একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে একটা স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ডের বাসিন্দা আমরা। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের দেশের জনগণ মোকাবিলা করবে, সেখানে আমেরিকা, ভারত, চীন কারও এখতিয়ার নেই।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখা সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, আমরা ৫ আগস্টের আগে সব মত ও পথের মানুষের অধিকারের কথা বলেছিলাম। সেখানে সবাই নিজেদের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা দেখলাম, নানা বিষয়কে সামনে নিয়ে এসে আমাদের সেই চেতনা মেরুকরণ করা হলো। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বিপ্লব সরকারি সেই শ্রেণি স্বার্থের জন্যই কাজ করছে। আমরা দেখলাম, রিকশা চালকদের আন্দোলনকে রিকশা লীগের আন্দোলন, আদিবাসীদের আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বলা হলো। সরকারের এই অদূরদর্শিতার সুযোগে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী আমাদের মাঝে আবারও বিভাজনের চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের আগ্রাসনবিরোধী এই আন্দোলন কোনও ধর্মের আন্দোলন নয়।  এটা বাংলাদেশের সবে মানুষের আন্দোলন।  ভারত অভিন্ন নদীগুলোতে বাঁধ দিয়ে আমাদের দেশে নাব্য আটকে রেখেছে। তাদের বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে যেসব ঘরবাড়ি ডুবে যায়, তাদের ধর্মের ভিত্তিতে দেখার সুযোগ নেই। সেখানে হিন্দু-মুসলিম সবাই থাকে। সীমান্তের কাঁটাতারে ফেলানী যেমন থাকে, তেমনই স্বর্ণা দাসও থাকে। ভারত আওয়ামী লীগের আমলে সেসব অন্যয্য সুবিধা পেয়ে আসছিল, সেগুলো এখনও পাওয়ার জন্য তারা ধর্মীয় বিভাজন ও মেরুকরণ অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই কাজকে সহজ করে দিচ্ছে বাংলাদেশে ইসলামিক গোষ্ঠীগুলো। তারাও একইভাবে ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সম্ভবনাকে জিইয়ে রাখছে। এসমস তিনি কোনও প্রকার সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানান।

 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত