[ad_1]
‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে চেষ্টা করছে’, তথ্য উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) কথাবার্তা এবং আচরণ কেন হাসিনার মতো হবে?’
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গাপ্রেস এলাকায় নবী টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারগুলোর মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী প্রশ্ন করেন, আপনাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) কথাবার্তা এবং আচরণ কেন হাসিনার মতো হবে? আপনারা অগ্রযাত্রাকে সহযোগিতা করবেন। সরকারের সমালোচনা করা মানে ব্যর্থ নয়, এটিই গণতন্ত্রের রীতি।
রিজভী বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে যদি বলি— তার মতো সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, যখন দেশের গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করে রেখেছিল, খালেদা জিয়া যখন অত্যাচারিত হয়েছে, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরী করে রাখা হলো, বিনাদোষে বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ করা হলো, গুম-খুনে মেতে উঠেছিল— তখন তো তিনি (ড. ইউনূস) একটি বিবৃতি জানিয়ে নিন্দা জানাননি।’
‘অথচ আপনার (ড.ইউনূস) প্রতি যখন অন্যায় হয়েছে বিএনপি কিন্তু ঠিকই তখন প্রতিবাদ করেছে। ইউনূস সাহেব সর্ব-নন্দিত একজন ব্যক্তি। ক্ষুধা বিমোচন ও দারিদ্র্য দূরীকরণে যে ভূমিকা রেখেছেন তার জন্য আমরা গর্ববোধ করি। তবে, জাতিকে যখন আওয়ামী লীগ দাসে পরিণত করেছিল, তখন জাতি প্রত্যাশা করেছিল— ড. ইউনূস প্রতিবাদ জানাবেন, বিবৃতি দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইংরেজ শাসনামলে ১৯১৯ সালে ইংরেজ সৈনিকরা যখন গুলি চালিয়ে হিন্দুদের হত্যা করলো, তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংরেজদের দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাহার করেছিলেন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশে বাস করছি, যেখানে বাস করতে হলে পাশ্বর্বর্তী দেশের অনুমতি নিয়ে বসবাস করতে হবে। এবং তারা যাকে ক্ষমতায় আনতে চায় তাকেই মানতে হবে। ওই সরকার যেভাবে এদেশ চালাবে সেভাবেই চলতে হবে। তাহলে পাকযুদ্ধ কেন হয়েছিল? পাকিস্তান ও তাদের মধ্যে তো কোনও পার্থক্য দেখছি না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা ৫ আসনের সমন্বয়কারী নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, মকবুল হোসেন টিপুসহ যাত্রাবাড়ীতে শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যরা।
[ad_2]
Source link