[ad_1]
সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিল’-এর আয়োজনে ‘ছাত্র গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সিটি এবং পৌর কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে পুনর্বহালের দাবি ও বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে কাউন্সিল সমাবেশে’ জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ জনপরিসরে ‘ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে’ উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সামান্তা উল্লেখ করেন, সংবাদমাধ্যমের বরাতে উক্ত সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি করেননি।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কাউন্সিলর কিংবা অন্য কোনও পদধারী ব্যক্তিকে স্ব-পদে বহাল চায় না।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ওই সমাবেশে মূলত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে ভূমিকা পালন করেছিল, তাদের স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ৪২(ক) ধারা মোতাবেক ‘প্রশাসক’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে মত ব্যক্ত করেছিলেন নাসীরুদ্দীন।
সামান্তার ভাষ্য, ‘‘বিগত ফ্যাসিবাদী সময়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ও কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। জাতীয় পর্যায়ে ‘একতরফা নির্বাচন’, ‘রাতের ভোট’ এবং সর্বশেষ ‘ডামি নির্বাচন’ ইত্যাদি মডেলে জাতির সঙ্গে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের প্রতারণা এবং ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার এক মহোৎসব লক্ষ্য করেছে জাতি। স্থানীয় পর্যায়েও এ ধরনের নির্বাচনি মডেল অনুসরণ করা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, কিন্তু এরপরও ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এসব স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে জয় লাভও করে। ফলে ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ গঠন করা ব্যতীত উক্ত পরিস্থিতির সঠিক পর্যালোচনা সম্ভব নয়। আমরা মনে করি, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত কার্যকরী রূপরেখা তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে।
[ad_2]
Source link