[ad_1]
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে দেশে-বিদেশে নানা অশুভ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অন্তর্বর্তী সরকারকে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পরিহার করে বাস্তবায়যোগ্য রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক দল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের আস্থা নিয়ে জাতীয় নির্বাচনসহ প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তোরণের পথ-নকশা ঘোষণারও আহ্বান জানান।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় পরিষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশের মানুষকে যে কোনও মূল্যে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নীতি-আদর্শের পার্থক্য থাকলেও জাতীয় স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণ ঐক্যবদ্ধ। যেকোনও উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে দেশের স্বার্থে এই ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
চোরাগুপ্তা কায়দায় পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির ফিরে আসার কোনও সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণহত্যা এবং ১৬ বছরের অপরাধ ও লুটপাটের বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া রাজনীতিতে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসরদের পুনর্বাসনেরও কোনও অবকাশ নেই।’
এসময় তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনে বাংলাদেশ বিরোধী উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের ব্যাপক হামলা আক্রমণ ও ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। এসব উসকানিমূলক সহিংস তৎপরতার দায়দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বহন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানোর আহ্বান এবং বেনাপোল সীমান্তে দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপির বাংলাদেশ-বিদ্বেষী মহড়া পুরোপুরি উসকানিমূলক ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী। মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের মদদ যোগানোর শামিল।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিজেপি সরকার ও তাদের দল পরিকল্পিতভাবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও প্রচারণা ছড়িয়ে আসছে।’ ভারত সরকার ও বিজেপিকে বাংলাদেশবিরোধী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার যাবতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।
সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন,নির্মল বড়ুয়া মিলন, সাইফুল ইসলাম, সিকদার হারুন মাহমুদ, মাহবুবুল করিম টিপু, এমডি ফিরোজ, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, মোজাম্মেল হোসেন, জসিম উদ্দিন রাঢি, মাসুদূর রহমান মাসুদ, কে এম আলীদাদ, শাহীন আলম, মৃদুল বড়ুয়া, মাহমুদুল হাসান পিপলু, আবদুল হালিম ভুইয়া, সাবিনা ইয়াসমিন, শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম শাহজাহান, জামাল সিকদার, আবু হানিফ, নীলুফার ইয়াসমিন, বাবর চৌধুরী, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, জোনায়েদ হোসেন এবং প্রাণকৃষ্ণ দাস প্রমুখ।
সভায় পার্টির দলটির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মোখলেছুর রহমানসহ প্রয়াত নেতাদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
[ad_2]
Source link