[ad_1]
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সৃষ্ট যানজটে মানুষের অসুবিধা হওয়ায় অন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দুঃখপ্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। গুলশানে নিজের বাসা থেকে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এই সময় বিপুল সংখ্যক জনগণ তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।’
‘দীর্ঘদিন অন্যায় আক্রোশের শিকার হওয়া দেশনেত্রীর প্রতি জনগণের অমূল্য এই ভালোবাসা প্রকাশের কারণে সেদিন রাস্তায় অনেক যানজট হয় এবং অনেকের জন্যে বিভিন্ন অসুবিধার কারণ হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে এজন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।’
বিএনপি মহাসচিব অনুরোধ করেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকাবাসী এই সাময়িক অসুবিধাকে সুনজরে দেখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশবাসী অবগত আছেন যে, বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে দেশনেত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশবাসীর এটাও স্মরণ আছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধা বেগম খালেদা জিয়া কোনও অন্যায়ের প্রতি আপোষ না করে, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিগত সরকারের দেওয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে ছিলেন।’
‘কারাগারে থাকাকালীন সময়ে উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দেশী ও বিদেশী চিকিৎসকদের পরামর্শে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং উনার পরিবার থেকে বারবার আবেদন করা স্বত্বেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশনেত্রী কারাগার থেকে মুক্তি পান বটে; কিন্তু শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাকে বিদেশে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।’
গত মঙ্গলবার রাতে লন্ডনে চিকিৎসার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন খালেদা জিয়া। সেদিন রাতে সোয়া ৮টার দিকে বেরিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছান রাত পৌনে ১১টার দিকে। তার ওই যাত্রাকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক বিএনপির নেতাকর্মী, অনুসারীরা রাজপথে অবস্থান করায় সেদিন রাজধানীর উত্তর দিকে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমালোচনা করেন।
[ad_2]
Source link