Homeরাজনীতিঘোষণাপত্র নিয়ে ‘তড়িঘড়ি’ করার বিপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো

ঘোষণাপত্র নিয়ে ‘তড়িঘড়ি’ করার বিপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো

[ad_1]

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য থাকলেও সময় নিয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরির পরামর্শ দিয়েছের বৈঠকে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেছে, সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্যেও। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজনৈতিক নেতারা তারা।

সালাউদ্দিন আহমেদ

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে যেন কোনও ফাটলের সৃষ্টি না হয়। সেখানেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সবচেয়ে জরুরি— ফ্যাসবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখা। ফ্যাসিবাদবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সেই জাতীয় ঐক্যকে গণঐক্যে রূপান্তরিত করে, সেটাকে রাজনৈতিকভাবে আমরা যেন সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারি। রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে আসতে পারি এবং সেই ঐক্যকে ধরে রেখে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটাই আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের সে প্রচেষ্টার কারণে আমরা সব রাজনৈতিক দল, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক যেকোনও বক্তব্য দিতে চাই। এখন যেকোনও ধরনের অনৈক্যের বীজ যেন আমাদের ভেতরে বপণ করতে না পারে কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি এবং ফ্যাসিবাদী দোসররা, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদেরকে প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন। আমরা এসেছি, কথা বলেছি। আমাদের পরামর্শ যা দরকার রাষ্ট্র পরিচালনা ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন বিষয়ে সেটা আমরা দিয়েছি, বলে যোগ করেন তিনি।

ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনও পরামর্শ ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত ঘোষণাপত্র নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। আমরা প্রশ্ন করেছি যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র আসলেই সাড়ে ৫ মাস পরে কোনও প্রয়োজন ছিল কিনা? যদি থেকে থাকে সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী, সেটা নির্ধারণ করতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে যেন কোনও ফাটল সৃষ্টি না হয়— সেখানেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি কোনও রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয় সে দলিলটাকে আমরা অবশ্যই সম্মান করি। কিন্তু সেটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়— সেদিকটায় আমরা পরামর্শ দিয়েছি এবং সে বিষয়ে আমি প্রধান উপদেষ্টা ও সব উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, সে বিষয়ে যেন আপনারা নজর রাখেন। সে হিসেবে যেন পদক্ষেপ নেন। যেন জাতীয় ঐক্যে কোনও ধরনের ফাটল সৃষ্টি না হয়। আমাদের মধ্যে যেন কোনও ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।

ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী ছিল জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলিল প্রণয়নের বিষয়ে, ইত্যাদি বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।

খসড়া নিয়ে কোনও আপত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য কোন ধরনের বক্তব্য না দিয়ে চলে যান।

মিয়া গোলাম পরওয়ার

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে একটা খসড়া পাঠানো হয়েছে। আজকের আলোচনায় প্রত্যেক দলের এবং বিশিষ্টজনের মতামত চাওয়া হয়েছে। তবে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। একটা কথা মোটা দাগে বলতে পারি, প্রত্যেকটি দল একটা ঘোষণাপত্র হওয়া যে প্রয়োজন, সেটা অনুভব করেছে। তবে তাড়াহুড়ো করলে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনাকে ধারণ করে ঘোষণাপত্র তৈরিতে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। সময় নিতে হবে। রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে, অভ্যুত্থানের ইতিহাস, সংগ্রামের ইতিহাস, স্বাধীনতার পূর্বাপর ইতিহাসসহ সবকিছু মিলিয়ে একটা সুলিখিত ঘোষণাপত্র কীভাবে তৈরি করা যায়, সে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলাদা আলাদাভাবে প্রস্তাবনা দেবো। পরবর্তীকালে সবগুলোকে একত্র করে একটি সুন্দর ঘোষণাপত্রে রূপান্তরিত করা হবে।

তিনি বলেন, তবে খুব বিলম্ব করে অন্য কোনও অরাজকতা, অন্য কোনও ষড়যন্ত্রের সুযোগ— যারা চক্রান্তের জন্য অপেক্ষা করে, তারা যেন না পায়। দেরি না করে এই উদ্যোগ দ্রুত শুরু করা উচিত। সরকারের একজন উপদেষ্টা দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন, ওনারা আমাদের মতামতগুলো পর্যালোচনা করবেন। একটা হোমওয়ার্ক করার পরে আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে আবার বসবেন।

নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আজকে আমরা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল এসেছি এবং কথা বলেছি। আমরা সবাই একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছি যে, একটি ঘোষণাপত্র হবে। সবাই মিলে সম্মত হয়েছি যে, অতি দ্রুত পর্যাপ্ত পর্যালোচনাসহ এটি প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে কিছু দৃষ্টিভঙ্গিগত এবং শাব্দিক কিছু চয়নে সবার মধ্যে কিছু আলোচনা প্রয়োজন। সেটার জন্য সবাই সময় চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে। প্রধান উপদেষ্টা সময়ক্ষেপণ যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। যাতে কালবিলম্ব না হয় আবার খুব দ্রুত গতিতেও না হয়। মাঝামাঝি একটা সময়ে যাতে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছে সুন্দর একটি জিনিস তৈরি করতে পারি। এই বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং দ্রুতই সবার সামনে আসবে।

তিনি আরও বলেন , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি আমরা সেই ৩১ ডিসেম্বর রাত থেকে ধৈর্য ধারণ করে যাচ্ছি এবং এখনও ধৈর্য ধারণ করছি। আমরা দেশের জনগণকে বলবো— আপনারা আরও কিছু সময় ধৈর্য ধারণ করুন। বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক উপায়ে উত্তরণের পথে যেতে হয়, এই ঐতিহাসিক দলিল ছাড়া এটি সম্ভব না। এজন্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, গণতন্ত্রকামী মানুষ আছে, যারা গত ১৫ বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন— সেই মানুষগুলোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে সব মত, দল, পক্ষকে এই ঐতিহাসিক দলিলের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের পথে যাত্রার জন্য আমরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি। তারা সম্মত হয়েছে, আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের যাত্রা একসঙ্গে হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশে।

কোনও সময়সীমা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময়সীমা নিয়ে অনেকে বলেছেন। সুনির্দিষ্ট কোনও ডেটলাইন হয়নি। তবে সবাই সম্মত হয়েছেন যে, অনেক বেশি দেরি না আবার খুব তাড়াতাড়ি না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সবার পর্যবেক্ষণ নিয়ে এটি প্রকাশ করা হবে।

আরিফ সোহেল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, যদিও আমরা ১৫ জানুয়ারি মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি করা হবে বলে আশা করেছিলাম। সরকারকে সেভাবে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে দেখি নাই। তারপরও তারা যে উদ্যোগ গ্রহণ করছে, তার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন মিলে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন ও সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে, এটা এখন নিশ্চিত। পরবর্তী ধাপে আলোচনা করবো জুলাই ঘোষণাপত্রে কী কী থাকবে। যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে নেমে আসা ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে। আমরা আশাবাদী, অবিলম্বে ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারবো। আন্তর্জাতিকভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্বকৃীত দিতে পারবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বৈপ্লবিক পরিবর্তনের যে ধারায় রয়েছে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ফ্যাসিবাদি ধারার বিলোপ, গণতান্ত্রিক যে ধারার পথ উন্মোচিত হয়েছে, সেই ধারা আরও সুদৃঢ় করতে পারবো। বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে জুলাই ঘোষণাপত্র ঐতিহাসিক গুরুত্ব পালন করবে।

জোনায়েদ সাকি

ঘোষণাপত্র তৈরিতে তাড়াহুড়ো ও যেনতেন প্রক্রিয়া যেন না করা হয় বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনদের ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র কীভাবে তৈরি করা যাবে। গণঅভ্যুত্থানের যে প্রেক্ষাপট, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটেছে, গণঅভ্যুত্থান ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের যেই দিকনির্দেশনা দেয়, এই বিষয়গুলো একটা দলিলে একত্রিত হতে পারে। তবে সেটার পদ্ধতিগত দিক কী হবে? দলিলটা কীভাবে তৈরি হবে? এই বিষয়ে আমরা আমাদের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেছি। আশা করি, সে অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্মপন্থা তৈরি করবেন। 

সাকি বলেন, আমরা বলেছি, এটা যেন তাড়াহুড়ো করে, যেনতেন প্রক্রিয়া না করা হয়। ঘোষণাপত্র তৈরির জন্য সরকারের দিক থেকে এই উদ্যোগটা নেওয়া দরকার। এটা কী হবে? এটার আইনের দিক কী?  রাজনৈতিক দিকগুলো কী? এ প্রশ্নগুলো সবার ঐকমত্যের জায়গা থেকে হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে একটি ড্রাফট কমিটি করা দরকার জানিয়ে সাকি বলেন, কমিটি ড্যাফটির দায়িত্বের জায়গায় থাকবে। শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের মতামতকে যুক্ত করে প্রয়োজনীয় সময় নিয়ে দলিলটি তৈরি করতে হবে৷ একটা ভবিষ্যতের দলিল।  এটা আমাদের রাজনৈতিক সূত্র হিসেবে সব সময় কাজে লাগবে। সেভাবে যাতে তৈরি করা যায়। 

জুনাইদ আল হাবিব

সরকারের মধ্যে বিপ্লবের কিছুই দেখেন না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি জুনাইদ আল হাবিব বলেন, সরকার আরও বিপ্লবী হবে, পরাজিত শক্তির দোসর এবং তাদের সহযোগী যে যেখানেই আছে, প্রত্যেককে ধরে বিচারের কাটগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে যে বিপ্লবী সরকার গঠন হয়েছে, আমরা গত ৫ মাসে বিপ্লবী কোনও কিছুই দেখি নই। আগামী নির্বাচনে পরাজিত শক্তির কেউই অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ঘোষণাপত্রের জন্য আমরা একটা কথা বলে এসেছি, অনেকগুলো বিষয় যেহেতু এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেই জায়গায় ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের গণহত্যাকেও সেখানে (ঘোষণাপত্রে) সংযোগ করতে হবে। সে কথাটা আমরা বলে এসেছি। ২০২১ সালে পাখির মতো গুলি করে ওলামায়ে কেরামকে হত্যা করা হয়েছে, হাজার হাজার ওলামায়ে কেরামকে গ্রেফতার করে বছরের পর বছর জেলখানায় বিনাবিচারে আটক রাখা হয়েছে, সেটাও এখানে উল্লেখ থাকতে হবে।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ

সরকারের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জুলাই গণঅভ্যুত্থানের খসড়া আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিকে দিয়েছিলেন জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে আমরা একটি লিখিত পরামর্শ দিয়েছি।

ঐতিহাসিক দলিল তৈরিতে উদ্যোগ নেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানায় এবি পার্টি। দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, শব্দে শব্দে সব দলের একমত হওয়া কঠিন বা দরকারও নেই। আমাদের প্রক্রিয়ায় একমত হওয়া দরকার।  কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গণঅভ্যুত্থানের ফরমান লিখিত হবে। সব দল তা সম্মতির ভিত্তিতে গ্রহণ করবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মতো।

ঘোষণাপত্র তৈরিতে সংবিধান সংস্কার কমিশন বা  অন্যকোনও কমিটি বা কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফুয়াদ। তিনি বলেন,  উপদেষ্টমণ্ডলী রাজনৈতিকদলগুলোর পরমার্শকে যৌক্তিক মনে করেছেন। ঘোষণাপত্রের আকার ছোট করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফুয়াদ। তিনি বলেন,  কাঠামোতে সবার একমত হওয়া দরকার। কারণ বড় ডকুমেন্টে দ্বিমতের সুযোগ বেশি আসবে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত