[ad_1]
ফ্যাসিস্ট রাজনীতির বিদায় হয়েছে। ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক শক্তি এখন আর নেই। জালিমরা আর যেন আসতে না পারে সেই ধরনের রাজনৈতিক-আদর্শিক পরিবর্তনের জন্য সবাইকে মাঠে-ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মুয়াযযম হোসাইন হেলাল।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে মুলাদী উপজেলা ফোরাম ঢাকা আয়োজিত এক প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেছেন।
সমাবেশে মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তি বিদায় হওয়ার পর আমরা আজকে কথা বলতে পারছি। একটা অনুকূল রাজনীতি যদি না থাকে তাহলে কোনও ধরনের কাজই করা যায় না। একমাত্র ফ্যাসিজমের পক্ষে কাজ হয়েছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক অনুকূল রাজনীতি যদি থাকে তাহলে সেখানে কাজ করার সুযোগ আসে।
তিনি বলেন, ইনসাফ ভিত্তিক শক্তির যদি পাওয়ার না থাকে তাহলে সে ইনসাফ কখনও কার্যকরী হয় না। বাংলাদেশের জালিমদের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছে আমাদের ছাত্র-জনতা। তারা ভয়কে জয় করেছে। অবশ্যই তাদের ভেতরে ওই সময় ঈমানি শক্তি তৈরি হয়েছিল। আমাদের ছাত্র-জনতা যখন বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে তখন তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করার কোনও শক্তি ছিল না। ছাত্র-জনতার সমর্থনে আমাদের সরকার এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন। এই সরকার পাওয়ার দিয়ে তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছে। আমরা দাবি করবো, এদের যেন উপযুক্ত বিচার হয়ে সারা বিশ্বে একটা নজির স্থাপন হয়। কোনোদিন ফ্যাসিস্টরা বিনা বিচারে যেন যেতে না পারে বাংলাদেশের জনগণ সেটা প্রমাণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র এবং সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য ৩০ লাখ টাকা এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত সরকার করেছে। আমরা মনে করি, ৩০ লাখ টাকা একটা জীবনের মূল্য হয় না। তারপরেও অবশ্যই এটার একটা গুরুত্ব আছে। ’২৪-এর আগস্টে যে বিপ্লবটা হয়েছে, সে বিপ্লবের যারা নায়ক; যারা জীবন দিয়েছেন আল্লাহ যাতে তাদেরকে দুনিয়াতেও সম্মানিত করেন।
ইসলামিক ইকোনমিক রিসার্স ব্যুরো’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রীতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য, অধ্যক্ষ জহির উদ্দীন মুহাম্মদ বাবর, মাওলানা মো. আবু সালেহ প্রমুখ।
[ad_2]
Source link