[ad_1]
দাফন ও শবদাহের নামে সব ধরনের ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি চায়, বিনামূল্যে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে সিটি করপোরেশনকে জনবান্ধন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হোক।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানের সামনের সড়কে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা কমিটির উদ্যোগে ‘নগরবাসীদের মৃত্যুর পর শেষকৃত্য সম্পাদনে সব ধরনের চার্জ-ফি বাতিলের’ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের লালবাগ থানার আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন টিটো, সঞ্চালনা করেন সংগঠক সাইফুদ্দিন আহমেদ ফায়সাল। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু।
আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. সেলিমুজ্জামান, লালবাগ থানার সদস্য সচিব বাহাউদ্দীন, চকবাজার থানার আহ্বায়ক মো. আলী, বংশাল থানার আহ্বায়ক জয় ভৌমিক, কোতয়ালি থানার আহ্বায়ক মো. হাসান, বংশাল থানার সদস্য সচিব আহম্মদ উল্লাহ সুমিত, চকবাজার থানার সদস্য সচিব হাসান, কোতয়ালি থানার সদস্য সচিব ফারুক হাওলাদারসহ অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশে মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, ‘নগরে বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিক জন্মের পর থেকেই নানা ধরনের কর সিটি করপোরেশনে দিয়ে থাকেন। সে সব কর নগর কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর সেবায় ব্যবহার করার কথা। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে যদি লক্ষ্য করি যে, যেখানে কিছুদিন আগেও সাবেক মেয়র দাফন ও দাহের জন্য সব চার্জ বাতিল করেছিলেন, এখন সেখানে রেজিস্ট্রেশন ফি-এর নামে ১ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত আরও ৮৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও চাটাই-বাঁশ-কবর খননের জন্য অতিরিক্ত আরও প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ করতে হয় একটি পরিবারকে। যে শহরে কোটিখানেক নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে, সেখানে এই ফি আদায় অন্যায় ও অন্যায্য।’
অবিলম্বে এসব ফি বাতিল করে সিটি করপোরেশনকেই দাফন ও দাহের পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে বলেও দাবি জানান মনির উদ্দীন পাপ্পু। এছাড়া ইজারার নামে কিছু ব্যক্তির অনৈতিক আয়ের ব্যবস্থাও বাতিল করার দাবি জানান তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘যেখানে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে বছরে ১ হাজার কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হয়, সেখানে সিটি করপোরেশনের জন্য এই ব্যয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করা কোনও বিষয়ই নয়।’
মানববন্ধনে ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান বলেন, আমরা জনবান্ধব সিটি করপোরেশন চাই, নাগরিকদের উপর কোনও অন্যায় ফি চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এটা বাতিল করা না হলে অদূরভবিষ্যতে আমরা ‘নগর ভবন ঘেরাও’ এর মতো বৃহৎ কর্মসূচি দেবো।
[ad_2]
Source link