[ad_1]
দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। যদি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হয়, তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হলে আজকে যেসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেসব ষড়যন্ত্র পাত্তা পাবে না।’
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সংস্কারের উসিলা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সংস্কার আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) শুরু করবেন, এটি শেষ না হলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সেই সংস্কারকে শেষ করবে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। জনগণের অধিকারের মধ্যে প্রধান অধিকার হচ্ছে ভোটের অধিকার। সরকারের যত সংস্কার প্রস্তাব থাকুক না কেন, সর্বপ্রথম এবং অগ্রাধিকার প্রস্তাব হওয়া উচিত নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যাপারে সংস্কার করা, নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ দেওয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপরে প্রত্যাশা আছে আবার মানুষের প্রতি ও তাদের কমিটমেন্ট আছে। এই সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল। সুতরাং বৈষম্য দূর করতে হবে, সে জন্য সংস্কার প্রয়োজন। তবে এই সংস্কার অতি দ্রুত করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অনির্দিষ্ট থাকেনা, নির্দিষ্ট হতে হয়। সংস্কারের প্রস্তাব তারা বিভিন্ন সময় করছেন, আমরাও বিভিন্ন সময়ে সরকারকে বলেছি যে, একটি সরকার একেবারে সংস্কার শেষ করে যেতে পারবে তেমনটি স্বাভাবিক নয়।
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা ষড়যন্ত্র করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের তো একটা উদ্দেশ্য আছে, বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কিন্তু এই বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব হবে না। যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের স্মরণ করিয়ে বলতে চাই, এই বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করেছে সেটিরও প্রমাণ আছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সামনে যে নির্বাচন হবে তার জন্য কিন্তু ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আজকে মনে করা হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বোধ হয় দুর্বল। সেজন্য শেখ হাসিনা ভারতে বসে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করতে সাহস পাচ্ছে, ভারতও সেখানে উসকানি দিতে সাহস পাচ্ছে। এই জায়গায় আমাদের সজাগ থেকে সাহসী ভূমিকা নিতে হবে।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাগপার সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড নূর ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
[ad_2]
Source link