Homeরাজনীতি‘পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে চাওয়া গোষ্ঠী আগে স্থানীয় নির্বাচন চাচ্ছে’

‘পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে চাওয়া গোষ্ঠী আগে স্থানীয় নির্বাচন চাচ্ছে’

[ad_1]

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এক শ্রেণীর খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে। তারা বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে। খুঁজে দেখেন, এই কথাগুলো যেখান থেকে বেরিয়ে আসছে, তারাই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। ২ থেকে ৩ শতাংশের বেশি ভোট নেই তাদের। এদের চেহারা চাল-চলন সবসময় একটা গোষ্ঠীর মধ্যে আটকে থাকে। আগে এরা ইসলামী বিপ্লবের কথা বলতো। এখন তারা সেগুলো বাদ দিয়ে ভোটের রাজনীতিতে আসতে চায়। ভোটও যাতে সুষ্ঠুভাবে না হয় সে অবস্থার মধ্যে তারা দেশকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারা ব্যাংক দখল করে ফেলেছে, কোচিং সেন্টার দখল করে ফেলেছে, ২০তলা হাসপাতাল পর্যন্ত দখল করে ফেলেছে। এরা এখন তৎপর হয়ে গেছে। তাই গণতন্ত্রকারীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে। 

অন্তর্বর্তী সরকার অতীত দেখতে পান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা গোষ্ঠী মনে করে একমাসের মধ্যে সরকার পরিবর্তন, হাসিনার বিদায় ও গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। কিন্তু  অতীতে কী ছিল, এটা তারা গ্রহণ করতে চায় না। এমনকি সরকারের প্রধান যে ব্যক্তি আছেন, তিনিও অতীতটা দেখতে পারেন না। অতীতে আর যান না। এক মাসের মধ্যে আটকে গেছেন।

ড. ইউনূস আমেরিকা গিয়ে একজনকে পরিচয় করিয়ে দিলেন, সে নাকি মাস্টারমাইন্ড মন্তব্য করে দুদু বলেন, এই ছেলেটি এক মাসের ভেতরে সবকিছু উদ্ধার করে ফেলেছে। এমনকি হাসিনাকেও তাড়িয়েছে। সবকিছু সফল করে ফেলেছে। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয় ড. ইউনূস একমাসের মধ্যে এরকম একটা সফল আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড খুঁজে পেলেন, তাহলে ছয় মাসে খাদ্যের মাস্টারমাইন্ড, আইনশৃঙ্খলার মাস্টারমাইন্ড, বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড বের করতে পারলো না কেন? এ কয়টা লোক গত ছয় মাসে বাংলাদেশে যা করেছে সেটা খুব ভয়ংকর।  

কোনও রাজনীতিবিদরা এনজিও করতে যায় না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এনজিও’র যে অত্যাচার, তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ রাজনীতিবিদদের কাছে আসে। কেউ কেউ গলায়ও দড়ি দেয়। তারা এত হতাশ হয়ে যায়। কিন্তু, রাজনীতিবিদরা স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে। তারা কখনও জনগণকে সাফল্য দিতে পারে, আবার কখনও পারে না। কিন্তু, শেষ বিচারে রাজনীতিবিদরাই দেশ পরিচালনা করে। সেই রাজনীতিবিদরা যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে তখন দেশের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে। সেজন্য রাজনীতিবিদদের যারা ছোট করছে— তারা আসলে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত