Homeরাজনীতিবাহাত্তরের সংবিধানের ধারাবাহিকতা হলো বাকশাল: জোনায়েদ সাকি

বাহাত্তরের সংবিধানের ধারাবাহিকতা হলো বাকশাল: জোনায়েদ সাকি

[ad_1]

বাহাত্তরের সংবিধানের ধারাবাহিকতার ফলস্বরূপ বাকশাল সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

শনিবার (১৬ নভেম্বর)  বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ আয়োজিত ‘মেরামত সংলাপ-২’ এর শেষ সেশন ‘সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন: অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের ঝুঁকি না সম্ভবনা?’ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী ক্ষমতা কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখানো হচ্ছে, আওয়ামী লীগই দেশ শাসন করবে। প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা যাবে না। এই সমস্যাকে যদি সমস্যা মনে না হয়, তাহলে অনেক বড় সমস্যা। বাহাত্তরের সংবিধানের ধারাবাহিকতা হলো বাকশাল।

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ওয়েস্ট মিনিস্টার-সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি সেটি অনুসরণ করা যেতে পারে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্টবিজ্ঞানী রওনক জাহান, রাষ্ট্রচিন্তার আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ুম, রাজনীতিবিদ ববি হাজ্জাজ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সিনথিয়া ফরিদ।

রওনক জাহান বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের পক্ষে তখন বিরাট অংশের সমর্থন ছিলে। তখন এটি নিয়ে কোনও বিতর্ক ছিল না। পঁচাত্তর সালে যখন অ্যামেন্ডমেন্ট দেওয়া হয়, তখন এটিকে বিতর্কিত মনে হয়েছে। সংবিধান পুনর্লিখনের কথা বলা হচ্ছে, এখানে সেগুলো নিয়ে অধিকাংশ মানুষের ঐকম্য হতে হবে। তাহলে সেগুলো পরিবর্তন বা পুনর্লিখন করা হয়। আমরা কী ধরনের সংবিধান চাই, বাহাত্তরের সংবিধান কম-বেশি সেটিকে সামনে নিয়েই হয়েছে। তবে হ্যাঁ, কিছুটা বিতর্ক অবশ্যই ছিল। তবে বর্তমানে সেই ঐকমত্য আমি দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের দেশে স্বৈরাচার হয়েছে হয়— আইনকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে বা আইনকে অবজ্ঞা করে, যেখানে আইন ভঙ্গের জন্য শাস্তি পেতে হয়নি।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমাদের নির্বাচনি ঐতিহ্য ব্রিটিশরা শিখিয়ে গেছে এবং তারা নিজেরাই এখন এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করছে। ভোট বেশি পেয়েও  আসন কম পাচ্ছে অনেক দল। এই পদ্ধতিতে সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরুদের ওপর ক্ষমতায় পায়। বর্তমানে অধিকাংশ দেশ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি নিয়ে সরকার গঠনের পক্ষে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে সরকার প্রো-পিপল না, বরং অ্যান্টি পিপল। তাই মানুষ চিন্তা করে আসলে কে কমন নির্যাতন করবে। আর সেজন্যই সে তাকে ভোট দেয়। আর সেই জায়গায় আমাদের দেশে বলা হয়— ভোট নষ্ট করো না।  মানে লোক ভালো কিন্তু সে জিতবে না, তাই তাকে ভোট না দিয়ে প্রভাবশালী প্রার্থীকে ভোট দেয়। সে জায়গা থেকে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন যৌক্তিক।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত