[ad_1]
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা গণতন্ত্র ও বাস্তবতায় থাকতে চান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে তাদের অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল। কিন্তু তার স্বদিচ্ছা ও উদ্যোগ নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, সেটা দুঃখজনক।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ওই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ধানের শীষ ঐক্যমঞ্চ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এখন নির্বাচন নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার পর জাতি গণতন্ত্রে ফিরবে, এটা বাস্তবসম্মত। গণতন্ত্রে ফেরার জন্য একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মধ্যে জাতিকে যদি না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসার দ্বিতীয় কোনও পথ আছে বলে মনে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রে ফিরতে চান, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছেন। যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করতে চান, তারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। অর্থাৎ সব দলের সঙ্গে সরকারের সমান অধিকার থাকতে হবে। কিন্তু নতুন কোনও রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ যারা নিয়েছেন, তারা যদি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন তাহলে বিতর্ক সৃষ্টি হবে। মহাসচিব সত্য কথা বলেছেন।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘জিয়াবাদ এবং মুজীববাদ তারা দেখতে চান না। আমি বলবো, আপনাকে কে দেখতে বলেছে? আপনারা মুজিবের বিরোধিতা করেন, কিন্তু জিয়ার বিরোধিতা করলে আপনাকে মুজিবের পক্ষের লোক হিসেবে অনেকে ধারণা করবেন। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। বিভ্রান্তি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দ্বিধান্বিত করবে। বিএনপির সমালোচনা করতে গিয়ে পরোক্ষভাবে গণতন্ত্রের সমালোচনা করছেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে চলে যাচ্ছেন, এটা কী খেয়াল করেছেন? আগামী দিন হলো জাতীয়তাবাদীদের দিন। আগামী দিন যারা শহীদ জিয়ার কর্মী, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের কর্মী তাদের দিন।’
আরাফাত রহমান কোকোর কথা উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘তিনি শুধু প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুত্র নন, তিনি একজন বিশিষ্ট ক্রিড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি রাজনীতির সঙ্গে না থাকলেও, রাজনৈতিক পরিবারের একজন সন্তান ছিলেন। এ ধরনের একটা পরিবারের সদস্যকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে; এটা আমার কাছে মনে হয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম টুটুলের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে আরও ছিলেন– বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, লোটন খন্দকার, হাতেম আলী প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে ওই দিন বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
[ad_2]
Source link