Homeরাজনীতিবিজয়ে মাস উপলক্ষে আ.লীগের বিবৃতি, নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি

বিজয়ে মাস উপলক্ষে আ.লীগের বিবৃতি, নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি

[ad_1]

বিজয়ের মাস উপলক্ষে বিবৃতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সই করা বিবৃতিটি আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে। বিবৃতিতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামে ‘হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেফতার সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘রবিবার থেকে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের যাত্রা শুরু। এই মাসে বাঙালি জাতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব গৌরবগাঁথা বিজয় অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জন করে। দখলদার পাকিস্তানি উপনিবেশবাদের অর্গল ভেঙে অভ্যুদয় হয় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। সমাগত বিজয়ের মাসের এই শুভক্ষণে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুমহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতি অনবদ্য লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে পেলো চির-আকাঙ্ক্ষিত মুক্তির স্বাদ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।’

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলা কত কঠিন ছিল, তা আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালে বোঝা যায়। অগণতান্ত্রিক সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করছে। পরিকল্পিতভাবে ঘৃণা উৎপাদনের সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষে মানুষে বিভাজন সৃষ্টি করার মাধ্যমে অবিশ্বাস ও বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। মেটিক্যুলাস ডিজাইনের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল মানুষদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হচ্ছে। নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণ-গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিজয়ের মাসে জননেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং রাজবন্দীসহ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

দেশের কোনও মানুষ এই বাংলাদেশ চায়নি দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলছে, তারা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অভূতপূর্ব এই দৃশ্য দেখে নাই। যেন উদ্ভট এক উটের পিঠে চলছে বাংলাদেশ, যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত আদর্শ প্রতিষ্ঠায় তৎপর। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষসহ সমগ্র দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপচেষ্টা রোধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত