[ad_1]
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ও খ্যাতিমান চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৫ অক্টোবর) এক শোকবার্তায় এই শোক জানান তিনি। বার্তায় বি চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকাহত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বিএনপি মহাসচিব।
শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মরহুম বদরুদ্দোজা চৌধুরী একজন দক্ষ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে দেশের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে একজন সুদক্ষ সংগঠক ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। গণতন্ত্রের প্রতি আন্তরিক নিষ্ঠা তাকে একটি স্বতন্ত্র মাত্রা দিয়েছিল। দেশের স্বাধীকার, স্বাধীনতা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের সংগ্রামে তিনি ছিলেন আপসহীন ও সাহসী যোদ্ধা। দেশ ও মানুষের প্রতি সহমর্মী মরহুম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজনীতির পাশাপাশি একজন প্রসিদ্ধ চিকিৎসক হিসেবেও মানুষকে সেবা করে গেছেন।’
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরা বাংলাদেশ মহিলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তার ছেলে ছেলে মাহি বি চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পরে ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দলটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বি চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের সুপরিচিত মুন্সেফবাড়ির নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার মজিদপুর দয়হাটা গ্রামে।
[ad_2]
Source link