[ad_1]
ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। ন্যায্য এবং অধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। এছাড়া কোনও সম্পর্ক এগোতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের শাস্তি দাও, উভয় দেশের জনগণের ঐক্য গড়ে তোলো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করো’ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আগরতলায় যেটা ঘটেছে ,এটা কোনও কুটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে? একটা দেশে আরেকটা দেশের যে দূতাবাস থাকে, সেটিকে রক্ষার শতভাগ দায়িত্ব সেই দেশের সরকারের। তারা (ভারত) ফেল করেছে। অনতিবিলম্বে আগরতলার ঘটনার অপরাধীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও এবং সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলা বন্ধ করো।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অনেক সমস্যা ঝুলে আছে। সীমান্তে হত্যা করে ভারত বলতো দুর্বৃত্তরা এটা করেছে। আর আমাদের দেশের আগের সরকার তাদের সুরে কথা বলতো। আমাদের সঙ্গে তারা (ভারত) অসম বাণিজ্য করেছে। সুন্দরবনে তারা ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানির নামে রামপাল প্রজেক্ট করেছে। ফ্রেন্ডশিপের নামে যে কোম্পানিগুলো করা হচ্ছে— এটা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিরস্থায়ীভাবে শত্রুতা তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের ৫৪টি নদীর পানির উৎস ভারতে। তারপরও আমরা কেন পানি পাই না? কেন তিস্তা সমস্যার সমাধান হয় না? কেন আমাদের পানির জন্য হাহাকার করতে হয়? এসব সমস্যার সমাধান কেন হয় না?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, আপনি বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা বলেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের জনগণ মমতার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানাই।
বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে এসময় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে জোটের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
[ad_2]
Source link