[ad_1]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যানটিনের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন দে। তিনি সবার মাঝে পরিচিত ছিলেন মধুদা নামে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালনা করে গোটা শহরজুড়ে গণহত্যা চালায়। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও চালায় গণহত্যা। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ শহীদ হন। ওই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন সবার প্রিয় মধুদাও।
জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রসংঘ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহীদ মধুদার হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ, পরবর্তী সময়ে ‘ইসলামী ছাত্রশিবির’ নামে পরিচিতদের নিতে হবে।
এই মধুর ক্যানটিনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন আয়োজনকে শহীদ মধুদা ও তাঁর পরিবারের প্রতি অসম্মানজনক বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তারা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘শহীদের নিজের আঙিনায় খুনির সহযোগীদের বিচরণ খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। অনুতাপ এবং বিবেক বোধ থেকেই ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যানটিনে আসা উচিত নয়।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘অপারেশন সার্চলাইটে শহীদ মধুদার মতো অসংখ্য মানুষ শহীদ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম মহান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইসলামী ছাত্রশিবির নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং বীর শহীদদের অবমাননা করছে। মধুর ক্যানটিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে।’
[ad_2]
Source link