[ad_1]
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ও চরমোনাই পির বলেছেন, ৫৩ বছর যারা শাসন করেছে তারা নতুন করে কোনও আশা দেখাতে পারবে না। এখন তাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে।’
ইসলামী যুব আন্দোলনের ৫ম জাতীয় যুব কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পির। সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশে সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ।
রেজাউল করীম বলেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনে কেউ ভয় পায় কেন? উচ্চ কক্ষ হোক আর নিম্ন কক্ষ হোক– সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখকে সহ-সভাপতি ও মাওলানা মানছুর আহমদ সাকীকে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন রেজাউল করীম।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আলেম-ওলামাদেরকে বিভক্ত করতে চায় সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদীরা। তারা আমাদের ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, যুবক জাগ্রত হলে দেশ ও জাতি ভালো হয়। রুহানিয়াত ও জেহাদের সমন্বিত প্রয়াস। কোনোভাবেই রুহানিয়াতকে ভুলে যাওয়া যাবে না বা বাদ দেওয়া যাবে না।
‘অতীতের সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাই ধ্বংসস্তূপের উপরে কিছু হতে পারে না। যে কারণে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আমরা চাই। কারও ইঙ্গিতে বিচার বিভাগ থাকতে হবে।’
‘সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে ৫০৫টি আসন রাখা হয়েছে। আমি মহিলাদের জন্য ১০০টি সংরক্ষিত আসন চাই না। মহিলাদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট আসন চাই না। এক কক্ষ বা দ্বি-কক্ষ যাই হোক– সকল নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা মাঠে ছিলেন অথচ অন্য দলের শীর্ষ নেতারা মাঠে ছিলেন না। বিএনপি নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলে ছাত্র-জনতার অর্জনকে ধ্বংস করতে চাইছে। বাংলাদেশের মানুষ চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দেখতে চায় না। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম, এখন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সিন্ডিকেট ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। ইসলামি হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক থাকতে হবে। দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে কোনও অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির নির্বাচন ছাড়া জনমতের কোনও প্রতিফলন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা দ্বি-কক্ষ চাই না পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। আগামী দিনে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে চাইলে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দিন। অন্যথায় আন্দোলন করে পিআর পদ্ধতি ছাত্র-জনতা আদায় করবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসনের কোথায় কোথায় ফ্যাসিস্টদের সহযোগী আছে তাদের তালিকা হওয়া দরকার। পিআর বাস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচন হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকেই জুলাই বিপ্লবের একটি ঘোষণাপত্র ঠিক করতে হবে। জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা ছিল তাদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাবে।’
‘বিগত দিনে যারা ৩/৪ বার ক্ষমতায় ছিল তারা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তাদের অতীত চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। তারা উপর থেকে যে কথা বলেন তাদের কথা তৃণমূলে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা অপরিকল্পিত রাষ্ট্র পরিচালনা করে না।’
‘আশা করি আপনারা জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। ইসলামী দলের নেতারা আগামী দিনে যাতে দুর্নীতিবাজদের সহযোগী না হন সে জন্য অনুরোধ করছি।’
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ১৬ বছর আলেম-ওলামাদের উপর জুলুম করা হয়েছিল। অনেকে বিদেশ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবে আপনাদের যে ত্যাগ ছিল তা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
[ad_2]
Source link