[ad_1]
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ প্রতি বছরের মতো মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করেছে। দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাসদ সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দিন মোল্লা, জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোট সভাপতি শফিরফুল কবির স্বপন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাইমুল হক প্রমুখ।
এরপর জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে ও জাসদের জনসংযোগ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির সর্দার, জাসদ নেতা আহসান হাবীব শামীম, জাতীয় শ্রমিক জোটের সহ-দফতর সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন চমন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অংশ হিসাবে বাঙালি জাতির উপর সংঘটিত বর্বর যুদ্ধাপরাধ-গণহত্যা-নারীধর্ষণ-নির্যাতন-অগ্নিসংযোগ-লুটপাটে যুক্ত জামায়াত, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, ইসলামি ছাত্র সংঘ (শিবির), রাজাকার, আলবদর, আলশামস, পিস কমিটির মতই এদেশের কিছু নাগরিক এখনও মুক্তিযুদ্ধ মেনে নেয়নি, এখনও জাতি বিরোধী, দেশ বিরোধী অপরাধের জন্য ক্ষমা চায়নি।’
বক্তাদের অভিযোগ করে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিচার অপচেষ্টা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, সংবিধান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
বক্তারা সাজানো ট্রাইব্যুনালে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বেআইনি প্রহসনমূলক বিচার বন্ধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ঢালাও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসানুল হক ইনুসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা ও রাজবন্দির অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
[ad_2]
Source link