আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসে ৩৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী। এদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তিকে ছাত্র-জনতা আটক করে পুলিশে দেয়।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে। রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরকে ঘিরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে। আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দিবসটি পালন উপলক্ষে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, সমাবেশে তাঁর ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ছবি দিয়ে বানানো ফেস্টুন রাখতে হবে। সেখানে হামলা হবে, সেই হামলার ছবি তুলে রাখতে হবে। এ জন্য আগে থেকেই সেট করে রাখতে হবে ক্যামেরা পারসনকে।
এরপর হামলার ছবি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে বলা হবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা রাজধানীর বাইরে থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঢাকায় জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দেয়। প্রকৃতপক্ষে তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অরাজক পরিস্থিতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক বিনষ্ট করা।
তাঁদের এই হীন তৎপরতার তথ্য প্রাপ্তির পর ডিএমপি ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ উসকানিমূলক পোস্টার, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবিসহ প্ল্যাকার্ড ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়। এসব অপকর্মের উসকানিদাতা, অর্থ জোগানদাতা ও জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।