নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এখন বহু জায়গায় থেকে শুনছি দখল-চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। কালচার (সংস্কৃতি) না বদলালে এ দেশ কখনও ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের মনমানসিকতা বদলাতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কৃতি না বদলালে ফ্যাসিবাদ আবার রিপিট হবে (ফিরে আসবে)।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দি ভয়েস অব টাইমস আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও গণআকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখন বলছে নির্বাচন হবে, সেটা কীভাবে হবে এখনও দৃশ্যমান নয়। সংস্কারের ঢেউ চলছে, অথচ সেটা কেউ গভীরে চিন্তা করছে না। জনগণের আকাঙ্ক্ষা গণমাধ্যমকে বুঝতে হবে। অন্যদিকে, মিডিয়া কেন ডিজিএফআই (প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর) নিয়ন্ত্রণ করবে। আমাদের মিডিয়াকে কেন তাদের কথা শুনতে হবে। এই বিষয়গুলো সংস্কার করা জরুরি। এই দুই মাসে গণমাধ্যমের সঠিক চর্চা হয়নি। মিডিয়া চাইলে অনেক কিছু করতে পারে, যদি তারা পরিস্থিতি বোঝে।
ড. ইউনূসের বক্তব্যে ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। উনি তো আমাদের স্বাধীনতা ডিলিট করতে বলেনি। স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের সবসময় একক জায়গায় থাকবে। এটি পরিবর্তন হবে না।
এসময় ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা নাম দেই ভয়েস অব পিপল অথচ আমরা জনগণের কথা বলি না। আমরা বলি রাজনৈতিক নেতাদের কথা, করপোরেট লোকদের কথা। এখন চাঁদাবাজদের পরিবর্তন হয়েছে, ন্যাশনাল মিডিয়া না চিনলেও স্থানীয় জনগণ কিন্তু ঠিকই তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানে। মিডিয়া আড়াল করলেও আপনারা জনরোষ আটকাতে পারবেন না। জনগণ ঠিকই সঠিক সময়ে জবাব দেবে।
সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য দেশে গণমুখী প্রচারমাধ্যম রয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশে নেই। বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতার তো জনগণের টাকায় চলে। এটা জনগণের কথায় চলবে। মূলত এই মাধ্যম আমাদের ফিরে পেতে হবে। না হলে রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যম থেকে লাভ কী। বর্তমানে সেলিব্রেটিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত, ওই গ্রামের লোকদের কথা আমাদের গণমাধ্যমে আসে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহীদুল আলম, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।