বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একটি নতুন বাংলাদেশ, বৈপ্লবিক, গণতান্ত্রিক, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তার জন্য অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে অতি শিগগিরই। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অতি দ্রুত জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার ও আমার দেশ পত্রিকা খুলে দেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশ করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘ঘাপটি মেরে থাকা শেখ হাসিনার দোসররা প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জায়গায় বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশের সামনেই মার্ডার হয় কীভাবে? ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসন কখনোই হতে পারে না। মুসোলনি ইতালিতে আর ফেরেনি। হিটলারও আর জার্মানিতে পুনর্বাসিত হয়নি। কোনোভাবেই ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন বাংলাদেশ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার কেন শেখ হাসিনার আইনগুলোকে টেনে টেনে নিয়ে এসে গণতন্ত্রের বিপ্লবী মানুষদের যন্ত্রণা দিচ্ছে? আমরা এমন একটি সরকার দেখতে চাই, যে সরকার সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার। এই জনগণের সরকারকে জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝেই কাজ করতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘এতো ছাত্র-জনতার আত্মদানের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে, তারা কেন শেখ হাসিনার তৈরি পুরোনো আইনকে ঘিরে কাজ করবে? শেখ হাসিনা যে আক্রোশ ও প্রতিহিংসার বসবর্তী হয়ে আইন তৈরি করেছেন সেটা সবাই জানে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও জানেন। আজ দুই মাস হয়ে গেলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কেন দেশে আসলেন না? কী আইনি প্রক্রিয়া আছে? এ আইন মানব লঙ্ঘিত আইন। এ আইন স্বৈরাচারের খুনিদের স্বার্থ রক্ষার হাত। এই আইন পরিবর্তন হতে পারে। আপনারা (অন্তবর্তীসরকার) কি ভয় পাচ্ছেন? নাকি আপনাদের কেউ নির্দেশ দিচ্ছে, যাতে এই আইনের বাইরে না যান? এই পরিস্থিতি এই সরকারের কাছ থেকে আমরা আশা করতে পারি না।’
সমাবেশে বিএফইউজে ও ডিইউজের সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।