[ad_1]
হোটেল লেকশোরে ‘তারেক রহমান: পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসিস কনটেমপরারি বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আলোচনায় দৈনিক বণিক বার্তা সম্পাদকের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় অত্যন্ত জরুরি বলে আমি বলতে চাই, দুর্ভাগ্যক্রমে আজকে একটা ভয়াবহ কাজ শুরু হয়েছে… যেটা হচ্ছে, সংবাপত্রের ওপর আঘাত, স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আঘাত— যার জন্যে আমরা সব সময় সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি।’
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে এই অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তিনি প্রথম সংবাদপত্রকে মুক্ত করেছিলেন। সেদিন আমাকে বণিক বার্তার সম্পাদক বলছিলেন যে, আপনারা এই বিষয়টাকে জোরে বলেন না কেন যে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি ভোগ করেছে খালেদা জিয়ার সময়ে… বিএনপির সময়ে… এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’
বিএনপি মহাসচিব উল্লেখ করেন, ‘আজকে যখন দেখছি, কিছু সংখ্যক হঠকারী, কিছু সংখ্যক উসকানিদাতা বিভিন্নভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বিঘ্নিত করবার চেষ্টা করছে, ধবংস করার চেষ্টা করছে— যেটা কোনও মতেই সচেতন মানুষের, দেশপ্রেমিক মানুষের মেনে নেওয়া উচিত নয়। আমি অনুরোধ জানাবো, সংশ্লিষ্ট সবাইকে যে, অনুগ্রহ করে এই ভয়াবহ আত্মহননের পথ থেকে সরে আসুন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করুন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যেসব কোমলমতি বালকেরা, ছাত্ররা তারা যেসসব কাজ করছে, তাদের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে… এটা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার… এই সরকারের পক্ষে সবকিছু একসঙ্গে করে ফেলা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে— যাতে করে ন্যূনতম সংস্কারের পরে… গতকাল (সোমবার) তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, সংস্কার করতে হবে… আমরা সংস্কারবিরোধী নই। সংস্কার করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। কেন নির্বাচনে যেতে চাই একথা আমি বার বার বলেছি… নির্বাচন ছাড়া এ ধরনের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়, এই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একমাত্র নির্বাচিত সরকারই পারে এই সব সমস্যা সমাধান করতে। অন্তত তার পেছনে যে জনশক্তি থাকে, যে ম্যান্ডেট থাকে, সেই ম্যান্ডেট নিয়েই সেটা তার পক্ষে করা সম্ভব হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শফিক রেহমান, চারু কলা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, গবেষক মোবাশ্বর হোসেন, শরীফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবী আমিন, আনোয়ার হোসেন খোকন, সেলিম রেজা, শামা ওবায়েদ, আফরোজা আব্বাস, বাসস পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, কূটনীতিক ও বিএনপির বিভিন্ন স্তরের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
[ad_2]
Source link