পানিশূন্যতার কথা শুনে অবাক হচ্ছেন? গাছেরও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। গাছ ঠিকমতো বেড়ে না উঠলে, পাতা হলুদ হয়ে গেলে, অসময়ে পাতা ঝরে পড়লে বুঝতে হবে গাছ পানির অভাবে ভুগছে। প্রতিদিন গাছের গোড়ায় পানি দেওয়ার পরেও যদি এমন লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে সতর্ক হতে হবে।
গাছের পানিশূন্যতা রোধে যে কাজগুলো করতে পারেন, গাছে পানি দেওয়ার সময় টব ভরে পানি দিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সেই পানি যেন টবে জমে না থেকে ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যায়। যাঁরা বারান্দা নোংরা হওয়ার কারণে টবে ছিদ্র করেন না, তাঁরা প্রতিদিন পানি না দিয়ে এক থেকে তিন দিন পরপর টব ভরে পানি দিন।
ক্যাকটাস বা রসাল গাছপালার টবের মাটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিন। অ্যান্থরিয়াম, কালাডিয়াম, পামট্রির মতো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার গাছে পানি দিতে হবে মাটি অর্ধেকটা শুকিয়ে গেলে। অন্যদিকে ফার্ন বা লতাপাতাওয়ালা গাছে পানি দিতে হবে মাটিতে আর্দ্রতা বুঝে। অনেক লতাপাতা আবার পানিতেই বেঁচে থাকে, সেসব পানি নিয়মিত বদলে দিন।
একটি লম্বা কাঠি টবের মাটির ভেতরে প্রবেশ করান। টবে পানির পরিমাণ ঠিক থাকলে কাদামাটি কাঠিতে লেগে যাবে। শুকনো হলে কাঠিতে লাগবে না। এই পরীক্ষায় বোঝা যাবে মাটির আর্দ্রতা কেমন। সে অনুযায়ী কখন পানি দিতে হবে তা বোঝা যাবে।