Homeসাহিত্যফ্যাক্টচেক /চীনে বানানো ‘বয়কট চায়না’ লেখা ১ লাখ টি–শার্ট যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির তথ্যটি...

ফ্যাক্টচেক /চীনে বানানো ‘বয়কট চায়না’ লেখা ১ লাখ টি–শার্ট যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির তথ্যটি সঠিক নয়


চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১০ এপ্রিল চীনা পণ্যে১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দিনই (১১ এপ্রিল) চীন মার্কিন পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে।

চীনের এমন পাল্টা পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটি থেকে আসা পণ্যে শুল্কের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত করার কথা জনায় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর যে বিশাল শুল্ক আছে তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা হবে।

এসবের মধ্যেই, চীনের একটি পোশাক কারখানা ইংরেজি ভাষায় ‘বয়কট চায়না’ লেখাসহ ১ লাখ টি-শার্ট এবং ক্যাপ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেছে—এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে। ফটোকার্ডে পোশাক কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করছেন এমন পরিবেশে একজন যুবককে মাথায় লাল ক্যাপ ও হাতে সাদা রঙের টিশার্ট ধরে রাখতে দেখা যায়। ক্যাপ ও টি–শার্টে ইংরেজিতে লেখা, ‘বয়কট চায়না’।

Esaholic নামে ফেসবুক পেজ থেকে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত (২৩ এপ্রিল) ২টা ১৯ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ফটোকার্ডের ক্যাপশনে ইংরেজি ভাষায় লেখা, ‘চীনের পোশাক কারখানা “বয়কট চায়না” লেখা ১ লাখ টি-শার্ট এবং ক্যাপ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেছে।’ (বাংলায় অনূদিত)

আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১২টা পর্যন্ত পোস্টটিতে ৩ লাখ ৪২ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে, ১৭ হাজার ৭০০ কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ৪৯ হাজার। এসব কমেন্টে কেউ কেউ এটি অসত্য লিখে কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করে কমেন্ট করেছে। Syed Shah Arif Qadri নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে, ‘এটিই ব্যবসা।’ (বাংলায় অনূদিত) Bony Mansai লিখেছে, ‘ভালো আইডিয়া। ভালো ব্যবসা।’ (বাংলায় অনূদিত)

Habib Adrian, Muktar Ashrafi Nasim, Al Amin MostafizAlamgir Hossainনামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আলাদা ক্যাপশনে ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়েছে।

এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ শুরুতে গুগলে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন কিংবা অন্য কোনো দেশের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের সাহায্যে তৈরি কিনা আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ শনাক্তকরণ টুল দিয়ে যাচাই করেছে। ছবিটি হাইভ মডারেশন দিয়ে যাচাই করে দেখা যায়, এটির এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

এআই দিয়ে তৈরি ছবি শনাক্তকরণ টুল হাইভ মডারেশনের ওয়েবসাইট। ছবি: স্ক্রিনশট

এআই দিয়ে তৈরি ছবি শনাক্তকরণ টুল হাইভ মডারেশনের ওয়েবসাইট। ছবি: স্ক্রিনশট

এছাড়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের সাহায্যে তৈরি ছবি শনাক্তকরণ টুল ইজইটএআইদিয়ে যাচাই করে দেখা যায়, এটির এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।

অর্থাৎ, ‘বয়কট চায়না’ লেখাসহ একজন যুবককের মাথায় লাল ক্যাপ ও হাতে সাদা রঙের টি–শার্ট ধরে রাখার ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে বানানো হয়েছে।

সুতরাং, চীনের একটি পোশাক কারখানা ‘বয়কট চায়না’ লেখা ১ লাখ টি–শার্ট ও ক্যাপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেছে দাবিতে ছড়ানো তথ্যটি সঠিক নয়। এই দাবিতে ছড়ানো ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বানানো।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত